নিজস্ব সংবাদদাতা

‘দেব’ দর্শনে ভাটা শাসক দলের প্রচারে

অভিনেতা দেব-এর (সাংসদ দীপক অধিকারী)আগমনও গোঘাটে নির্বাচনী প্রচার সভায় লোক টানতে পারল না তৃণমূল। এ দিন হুগলির অন্যতম নজরবন্দি এই কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন দলের দু’নম্বর মুকুল রায়। সঙ্গে অভিনেতা, সাংসদ দেব। সর্বোপরি ছিল হেলিকপ্টার দেখার টান। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টে। গোঘাটের বেঙ্গাই কলেজ মাঠে তৃণমূলের প্রচার সভায় মেরে কেটে জমায়েত হাজার তিনেক মানুষ।

Advertisement
গোঘাট শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৯
Share:

মঞ্চে দেব। ছবি: মোহন দাস।

অভিনেতা দেব-এর (সাংসদ দীপক অধিকারী)আগমনও গোঘাটে নির্বাচনী প্রচার সভায় লোক টানতে পারল না তৃণমূল।

Advertisement

এ দিন হুগলির অন্যতম নজরবন্দি এই কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন দলের দু’নম্বর মুকুল রায়। সঙ্গে অভিনেতা, সাংসদ দেব। সর্বোপরি ছিল হেলিকপ্টার দেখার টান। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টে। গোঘাটের বেঙ্গাই কলেজ মাঠে তৃণমূলের প্রচার সভায় মেরে কেটে জমায়েত হাজার তিনেক মানুষ। যার অধিকাংশই বালক-বালিকা, যারা হেলিকপ্টার দেখতে ঠায় দুপুর ১ টা থেকে দাঁড়িয়ে।

প্রচারে লোক কম কেন? তা হলে কী নারদ স্টিং নিয়ে তৃণমূলের প্রতি উৎসাহ হারিয়েছেন মানুষ?

Advertisement

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। এক নেতার কথায়, ‘‘যা চড়া রোদ। তাই মানুষ বের হননি। তা ছাড়া হঠাৎ করে সভার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সে ভাবে প্রচারও করা যায়নি। তাই আশানুরূপ লোক হয়নি।

কী বলছে বিরোধীরা?

তৃণমূলের প্রচার সভার এমন হাল নিয়ে গোঘাট সিপিএম জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “গোঘাটে বামফ্রন্টের জমি পোক্ত। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। দলের এক নম্বর, অভিনেতা-অভিনেত্রী আনলেও তৃণমূল লোক জমাতে পারবে না।” একই কথা শোনা গেল গোঘাটের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বিশ্বনাথ করাকের গলাতেও।

এ দিন দলের প্রচার সভায় মূল বক্তা মুকুল রায়ের মিনিট কুড়ির বক্তব্যের ৫ মিনিটই কেটে যায় মঞ্চে থাকা স্থানীয় নেতাদের নাম ঘোষণায়। তারপরে যেটুকু শোনা গেল তা সিপিএমের ৩৪ বছর ধরে সন্ত্রাসের রোজনামচা। বললেন, ‘‘সূর্যবাবু সন্ত্রাসের কথা বলেন। আমার রাগ হয় না, করুণা হয়। এই গোঘাটেই গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত সিপিএমের সন্ত্রাসে ভোট করার জায়গা ছিল না। প্রার্থী দিতেই পারিনি আমরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার সভাও করতে দেয়নি সিপিএম। আরামবাগে করতে হয়েছিল।”

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সিপিএম সন্ত্রাস করেছে ঠিক আছে। কিন্তু কোন উন্নয়নও করেনি। ৩৪ বছরে গোঘাট শুধু পিছিয়েই গিয়েছে।” যতক্ষণ বলেছেন ততক্ষণ শুধুই উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি উঠে এসেছে মুকুলের মুখে। দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের হাজারো আক্রণম নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি সাংসদ। আর এক সাসংদ দেব অবশ্য দর্শন দিয়ে ক্ষান্ত। মাইক নিয়ে স্রেফ দিদি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-র জন্য ভোট চাইতেই ব্যস্ত থাকলেন।

এ সব দেখে বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘আর কীই বা বলবে ওরা। মানুষের কাছে ওদের সব জারিজুরিই তো ধরা পড়ে গিয়েছে’।

তবে এ দিন সপ্তগ্রামের প্রার্থী তপন দাশগুপ্তর হয়ে প্রচারে ত্রিবেণীতে চাঁপদানির কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল মান্নানকে মুখ্যমন্ত্রী মতোই আক্রমণ করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেবও। দেব দর্শনে গোঘাটে জমায়েত না হলেও এখানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিন মুকুল বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারের আমলে একটাও চিটফান্ড গজিয়ে ওঠেনি। আমাকে সিবিআই তদন্তে সাহায্যের জন্য ডেকেছিল। তা হলে আমরা কি চোর হয়ে গেলাম?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement