মাহেশে পর্যটন প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু, দাবি

শহরবাসীর আক্ষেপ হয়তো মিটতে চলেছে। মাহেশে থমকে থাকা পর্যটন প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই ফের শুরু হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

মাহেশের রথ। ফাইল চিত্র।

শহরবাসীর আক্ষেপ হয়তো মিটতে চলেছে। মাহেশে থমকে থাকা পর্যটন প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই ফের শুরু হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জগন্নাথ মন্দিরে ওই প্রক‌ল্পের কাজ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দফতরের শ্রীরামপুরের সহকারী বাস্তুকার সুমিত দাস, শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়, মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী, সেবাইত তথা কাউন্সিলর অসীম পণ্ডিত, কাউন্সি‌লর তিয়াসা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। আগামী ৪ জুন রথযাত্রা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। সেই কারণে আপাতত জগন্নাথ মন্দির এবং মাসির বাড়ির মন্দির চত্বরে প্রক‌ল্পের কাজ শুরু হচ্ছে।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘এখন যতটুকু সম্ভব কাজ হবে। বাকিটা রথের পরে। তেমনই আলোচনা হয়েছে।’’ সৌমেনবাবুর কথায়, ‘‘কাজে দেরি দেখে আমরাও চিন্তায় পড়েছিলাম। এ বার রথের আগে ভক্তদের জন্য এটা সুখবর।’’ পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কাজের ওয়ার্ক-অর্ডার হওয়া থেকেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ বার সংস্কারের কাজ মানুষ চোখে দেখতে পাবেন।’’

Advertisement

সোজারথে জগন্নাথ মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহকে রথে চাপিয়ে মাসির বাড়ির মন্দিরে আনা হয়। ন’দিন তিন বিগ্রহকে ওখানেই রাখা হয়। উল্টোরথের দিন রথে চাপিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার মাসির বাড়ির মন্দিরের প্রবেশপথ ভেঙে ফেলার কাজ করা হতে পারে। প্রবেশপথটি আরও বড় এবং সুদৃশ্য করে তৈরি করা হবে। ওই মন্দিরের ভোগের ঘরও ভেঙে ফেলে নতুন করে করা হবে। জগন্নাথ মন্দির চত্বরে শিব, নিতাই-গৌর, নীলমাধব, বজরঙ্গবলীর ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। ওই সব মন্দির থেকে বিগ্রহ শীঘ্রই সরিয়ে ফেলা হবে। তার পরে সেই মন্দিরগুলিও ভাঙা হবে। সেই জায়গায় বড় একটি মন্দির তৈরি করা হবে। সেখানেই বিগ্রহগুলি থাকবে। শৌচাগার ভেঙে আধুনিক মানের শৌচাগারও তৈরি করা হবে। তবে মূল মন্দির, নাটমন্দির এবং মাসির বাড়ির মন্দির সংস্কারের কাজ রথের আগে সম্ভবত হবে না। জগন্নাথ মন্দির চত্বরে অতিথিশালা তৈরিরও কথা রয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৭ সালে হুগলিতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাহেশে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেন। তার পরেই প্রকল্পটি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়। তবে কাজে কাঙ্ক্ষিত গতি আসেনি বলে এতদিন আক্ষেপ করছিলেন শহরবাসী। এ বার কাজ শুরুর কথা শুনে তাঁরা খুশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement