তাঁর স্ত্রী জোট প্রার্থীর এজেন্ট হয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’ তৃণমূলের লোকেরা স্কুলে চড়াও হয়ে তাঁর মুখে, মাথায় কাদা দেয় বলে অভিযোগ সিপিএম নেতা তথা প্রধান শিক্ষক সাগর মুর্মুর। বুধবার গোঘাটের গোঘাট গ্রামের ঘটনা।
দমদমা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাগরবাবুর অভিযোগ, ‘‘স্ত্রী ভোটে এজেন্ট হওয়ায় তৃণমূলের ছেলেরা এতদিন মারধরের হুমকি দিচ্ছিল। সুবিধা করতে না পেরে এ দিন স্কুল পরিচালনা নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হেনস্থা করল। বিষয়টি বিডিও এবং স্কুল পরিদর্শককে লিখিত ভাবে জানাব।’’ গোঘাট ১-এর বিডিও অসিতবরণ ঘোষ ছুটিতে আছেন। সংশ্লিষ্ট ব্লকের স্কুল পরিদর্শক শুভেন্দু কু বলেন-“অভিযোগ হাতে পাইনি, বিষয়টা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার নিন্দা করে গোঘাট সিপিএম জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাজ এখন,যাঁরা সিপিএম করছেন তাঁরা সমাজের যে স্তরেরই হোন কেন তাঁদের অপদস্ত এবং অসম্মান করা।’’
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালীন অমিত সেন, বাপন খাঁ-সহ জনা পনেরো তৃণমূলের ছেলে স্কুলে চড়াও হয়। সাগরবাবু তখন বাংলার ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁকে ডাকা হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ক্লাস শেষ করে আসতেও সময় দিচ্ছিল না ওরা। বাইরে আসতেই অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের হিসেব চায়। কোথাও কোনও গরমিলের সন্ধান না পেয়ে তারা বলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। কয়েকজন স্কুল সংলগ্ন পুকুর থেকে কাদা এনে আমায় মাখিয়ে দেয়। হুমকি, যাঁরা ২০০৪ সাল থেকে মিড-ডে মিল রান্না করছেন তাঁদের সরিয়ে তাঁদের পছন্দের মহিলা নিয়োগ করতে হবে।’’ তবে দলের ছেলেদের এই কাজে ক্ষুব্ধ গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘দলের ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন পালকে অবিলম্বে বিষয়টা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। স্কুলের হিসেবপত্রে ভুল থাকলে তার জন্য প্রশাসন আছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ থাকলেও তার রেশ স্কুলে পৌঁছাবে কেন? দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’