প্রৌঢ়কে গুলি করে খুন চণ্ডীতলায়

গুলি করে এক ব্যক্তিকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়ায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোডে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম তপন ওরফে খোকন পান (৪৬)। বাড়ি সিঙ্গুরের বড়ার বাগবাড়িতে। তিনি দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০১:১৮
Share:

নিহত খোকন পান।—নিজস্ব চিত্র।

গুলি করে এক ব্যক্তিকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়ায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোডে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম তপন ওরফে খোকন পান (৪৬)। বাড়ি সিঙ্গুরের বড়ার বাগবাড়িতে। তিনি দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খুনের কারণ নির্দিষ্ট করে এখনই বলা সম্ভব নয়।’’ এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, ব্যাবসা সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

পুলিশের দাবি, বড়া তেলিয়ার মোড়ে তপনের পরোটার দোকান দোকান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি গাঁজার ব্যবসাও করতেন। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ এক জন তাঁকে ডাকতে আসে। এর পরেই সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তপনবাবু মোটরবাইকে বাড়ি থেকে বের হন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোড ধরে ধরে তিনি চণ্ডীতলার দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ কাপাসহাড়িয়ায় একটি হোটেলের কাছে একটি মোটরবাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায়। দু’জনেই হেলমেট পড়ে ছিল। খুব কাছ থেকে তারা তপনবাবুকে দু’টি গুলি করে। তপনবাবুর বুকে এবং পেটে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীরা বাইক ছুটিয়ে ডানকুনির দিকে চলে যায়। তপনবাবুকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) জয়িতা বসু, এসডিপিও (শ্রীরামপুর) সুবিমল পাল ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।

নিহতের স্ত্রী মাধবীদেবী বলেন, ‘‘স্বামীর কোনও শত্রু ছিল না। কেন যে এ ভাবে ওকে খুন করা হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ খুনিদের খুঁজে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’ তৃণমূলের বড়া অঞ্চল সভাপতি শৈল ঘোষ বলেন, ‘‘তপন খুবই ভাল লোক ছিলেন। আমাদের দল করতেন। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি ছিলেন। কারা ওকে খুন করল, পুলিশ তদন্ত করে তা বের করুক।’’

পুলিশ সূত্রের অবশ্য দাবি, গাঁজা কেনাবেচা সংক্রান্ত কারণে গোলমালের জেরেই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাঁজা বিক্রি করা নিয়ে শৈলবাবুর বক্তব্য, ‘‘ভিতরে ভিতরে কে কি করল, সেটা কী ভাবে বলব! এমনিতে সকলের সঙ্গেই উনি ভাল ব্যবহার করতেন।’’ স্থানীয় দোকানদাররাও জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা অন্ধকারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement