একবেলার চাল রেখে স্কুলের গুদাম ফাঁকা করল চোরেরা

গুদামের দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে রাখা চালের বস্তা উধাও। শুধু টেবিলের উপরে কাগজ পেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অল্প কিছু চাল! বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগের গৌরহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকার মাদারচক বিদ্যালয়ের গুদামের এই ছবি দেখে গ্রামবাসীদের চোখ কপালে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৫ ০২:০০
Share:

অঙ্কন: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য।

গুদামের দরজার তালা ভাঙা।

Advertisement

ভিতরে রাখা চালের বস্তা উধাও।

শুধু টেবিলের উপরে কাগজ পেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অল্প কিছু চাল!

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগের গৌরহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকার মাদারচক বিদ্যালয়ের গুদামের এই ছবি দেখে গ্রামবাসীদের চোখ কপালে! স্কুলের মিড-ডে মিলের চালের একটিও বস্তা নেই, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খাবে কী! কেউ কেউ অবশ্য তার মধ্যেই জল্পনা জুড়ে দিলেন, শুধু বৃহস্পতিবারের রান্নার মতো চাল রেখেই চোরেরা বস্তা নিয়ে পগার পার হয়েছে। আহা! কী শুভবুদ্ধি!

গুদাম থেকে এ ভাবে মিড-ডে মিলের চাল চুরির ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের মুখে মুখে ঘুরেছে চোরেদের ওই কাণ্ড।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ৪৯ জন ছাত্রছাত্রী। তাদের মিড-ডে মিলের জন্য স্কুলের গুদামে কয়েকটি বস্তায় সব মিলিয়ে ১১৯ কেজি চাল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন, গুদামের তালা ভাঙা। উধাও চালের বস্তা। শুধু কেজি পাঁচেক চাল টেবিলের উপরে কাগজ পেতে সাজিয়ে রাখা রয়েছে। তাঁরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোসারফ হোসেনকে ঘটনার কথা জানান। ওই কেজি পাঁচেক চালেই এ দিনের মিড-ডে মিল রান্না হয়। তবে, আজ, শুক্রবার থেকে যে মিড-ডে মিল চালানো মুশকিল হবে, তা মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে তিনি ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।

আরামবাগের যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ মজুমদার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘মিড-ডে মিল বন্ধ হবে না। আপাতত স্থানীয় রেশন ডিলারকে স্কুলের প্রয়োজনীয় চাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’

তবে, এ দিন রান্নার সময়েই গ্রামবাসীদের কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘‘শিশুদের জন্য বোধহয় পালানোর আগে একটু শুভবুদ্ধি জেগেছিল চোরেদের। তাই কিছুটা চাল রেখে গিয়েছিল।’’

একই কথা শোনা যায় কয়েক জন শিক্ষকের গলাতেও। পরে জানা যায়, বুধবার রাতে ওই গুদামের পাশাপাশি স্থানীয় একটি দোকানেও চুরি হয়েছে। সেটাও একই দলের কীর্তি বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement