জোরকদমে চলছে সভামঞ্চ তৈরি। চুঁচুড়ায় তাপস ঘোষের ছবি।
উদ্দেশ্য প্রশাসনিক বৈঠক ও কাজের তদারকি। সেই উপলক্ষেই আজ চুঁচুড়ায় পা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর।
যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৪ তারিখে সিঙ্গুরে বিজয় উৎসবের দিনেই এই বৈঠক করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু বাদ সাধে নিরাপত্তা। একই দিনে জেলার দুটি ভিন্ন জায়গায় দু’টি অনুষ্ঠানের চাপে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথাযথ করা যাবে কি না সেই প্রশ্ন ওঠে। এরপরই ওই দিনের বৈঠক বাতিল করে তা অন্যদিন করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ চুঁচুড়ায় নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনেই সেই বৈঠক। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় মন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের সমস্ত পদস্থ আধিকারিকদেরই থাকার কথা।
বৈঠক ঘিরে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের তৎপরতা তুঙ্গে। কেন না আগের প্রশাসনিক বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেই সব কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তার হিসাব এবং হাল হকিকত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজ পেশ করার কথা প্রশাসনের কর্তাদের। বৈঠকের পর চুঁচুড়ায় প্রশাসনিক ভবন চত্বরেই মুখ্যমন্ত্রী সরকারি নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে অন্যতম চন্দননগরে উড়ালপুল। দিল্লি রোডের সঙ্গে এই শহরের সংযোগের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষের দাবি ছিল উড়ালপুলের। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের নানা উপকরণ ও অনুদান জেলার মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তবে পুজোর মুখে চুঁচুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কিছুটা সমস্যায়। কেন না শহরের রাস্তাগুলি বেশি চওড়া নয়। সেই কারণে যান নিয়ন্ত্রণের সুবিধায় বেশিরভাগ রাস্তাকেই একমুখী করে দেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাসকদলের যে সব কর্মী-সমর্থক এদিনের সভায় আসবেন, তাঁদের বাস শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শহরের একাধিক প্রান্তে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করেছে পুলিশ। সেখানেই গাড়ি রেখে হেঁটে সভাস্থলে আসতে হবে।
জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, জেলা সদরে রাস্তার যে সমস্যা তাতে এ ছাড়া উপায় ছিল না। বাইরে থাকা আসা গাড়িগুলোকে শহরে ঢুকতে দিলে যানজটে শহর স্তব্ধ হয়ে যেত। তাই শহরের বাইরে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “প্রত্যেক কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য। তা ছাড়া আমাদের দলের স্বেচ্ছাসেবকেরাও থাকবেন।”