প্রতীকী ছবি।
রাত জেগে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বাদ সাধছিল পাশের ক্লাবের টিভির আওয়াজ। অর্কজিৎ দাস নামে ওই পরীক্ষার্থীর বাবা টিভির আওয়াজ কমানোর অনুরোধ করেছিলেন। ‘অপরাধ’ ছিল এটুকুই। সে জন্য রবিবার রাতে কোন্নগরের কানাইপুরে ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং তার বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অভিযোগ, অর্কজিৎকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। তার মাথায় এবং ডান চোখে চোট লাগে। তার বাবাকে ঘুষি মারা হয়। মায়েরও হাত মুচড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ক্লাব সম্পাদককে থানায় ডাকা হয়েছে। মামলা শুরু হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টা। পড়তে বসেছিল অর্কজিৎ। ক্লাবটি বাড়ির পাশেই। সেখানে জোরে টিভি চালানো হয়েছিল। ছেলের পড়ার অসুবিধা হচ্ছে দেখে অর্কজিতের বাবা আনন্দবাবু ওই ক্লাবে যান। তিনি ক্লাব-সদস্যদের কাছে হাতজোড় করে টিভির আওয়াজ কমানোর অনুরোধ জানিয়ে ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সদর দরজায় লাথি, ধাক্কার আওয়াজে চমকে যান আনন্দবাবুরা। দরজা খুলতেই জনা পাঁচেক যুবক হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। আনন্দবাবুকে ঘুষি মারা হয়। বাধা দিতে এগিয়ে যায় অর্কজিৎ। হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে। অর্কজিতের মা জয়ন্তীদেবীর হাত মুচড়ে দেওয়া হয়। আনন্দবাবু বলেন, ‘‘ছেলেটার পড়ার ক্ষতি হচ্ছে, এটা বলা কি অপরাধ?’’