প্রতিবাদে: চন্দননগর স্টেশন রোড অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। ছবি: তাপস ঘোষ
দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে বচসার চার বিজেপি কর্মীকে লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনাকে ঘিরে তেতে ওঠে চন্দননগরের বৌবাজার এলাকা। মারের চোটে উদয় পাত্র নামে এক বিজেপি কর্মীর বাঁ হাত ভেঙে যায়। তাঁর বুকে-পেটে এবং মাথাতেও চোট লাগে। তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা চন্দননগর স্টেশন রোড অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশ গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মুন্না আগরওয়াল-সহ আট জনের বিরুদ্ধে ভদ্রেশ্বর থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে মুন্নার দাবি, ‘‘দলীয় পতাকা টাঙানো নিয়ে একটা বচসা হয়েছিল। পরে মিটমাট হয়ে যায়। পড়ে গিয়ে চোট লাগায় ওঁরা জখম হন। আমাদের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উদয় পাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে একদল বিজেপি কর্মী চন্দননগর স্টেশন সংলগ্ন বৌবাজার এলাকায় দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। শুক্রবারের দলীয় সভার জন্য একই সময়ে ওই জায়গায় মুন্নার নেতৃত্বে কিছু তৃণমূল কর্মীও দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। কিন্তু জায়গা নিয়ে রাত ১১টা নাগাদ দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। তারপরেই হাতাহাতি। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যে একদল তৃণমূল সমর্থক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের লাঠি-বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে। দু’পক্ষের চেঁচামেচিতে এলাকা তেতে ওঠে। জখম হন চার বিজেপি কর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে বিজেপির চন্দননগর মণ্ডলের সভাপতি ঋতেশ শর্মা এবং অন্য নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার অবরোধ করে বিজেপি। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি কর্মী উদয় বলেন, ‘‘আমরা কয়েকজন মিলে দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলাম। হঠাৎই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। মারধর বন্ধের অনেক অনুরোধ করেছিলাম। কোনও লাভ হয়নি।’’ বিজেপি নেতা ঋতেশ বলেন, ‘‘গরমের কারণে আমাদের কর্মীরা রাতে দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা হল। এটাই কি এ রাজ্যের গণতন্ত্র?’’