নিয়ম: চলছে বন্দুক পরীক্ষা। চন্দননগর থানায়। ছবি: তাপস ঘোষ
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিধি মেনে থানায় থানায় শুরু হয়ে গিয়েছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক জমা নেওয়া। চন্দননগর কমিশনারেট এবং হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের আওতাধীন এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকধারীরা থানায় এসে জমা রেখে যাচ্ছেন তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র।
চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় সাতটি সাধারণ থানা রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার এই অংশে প্রায় সাতশো নাগরিকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক রয়েছে। নির্বাচন ঘোষণার পরেই সেগুলি দ্রুত জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কমিশনারেট সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা পড়েছে। রবিবার বিকেলে এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সাড়ে চারশোর উপরে বন্দুক জমা পড়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সব বন্দুক জমা পড়ে যাবে বলে আশা করছি।’’
অন্য দিকে, জেলার গ্রামীণ পুলিশের আওতায় রয়েছে ১৬টি সাধারণ থানা। পুলিশ সূত্রের খবর, এখানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। রবিবার পর্যন্ত ৯০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়ে গিয়েছে বলে পুলিশকর্তাদের দাবি। তাঁরা জানান, দু’-এক দিনের মধ্যেই বাকি আগ্নেয়াস্ত্রও জমা পড়ে যাবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ সূত্রের খবর, আত্মরক্ষা এবং সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে অনুমতি নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারেন। নির্বাচন বিধি চালু হলে তা নিকটবর্তী থানায় জমা রাখতে হয়। নির্বাচনকে নির্ঝঞ্ঝাট করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা।