অতিথি-নিবাসে বেআইনি কাজ, নাবালিকা-সহ ধৃত

সিআইডি সূত্রের খবর, ওই অতিথি নিবাসে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি কাজ চলত। বুধবার রাতে নির্দিষ্ট খবরের সূত্রেই সেখানে হানা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে এক নাবালিকা-সহ মোট ৮ জ‌নকে আটক করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ধৃত চার জনের মধ্যে নাবালিক-সহ দুই মহিলা রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০২:১৪
Share:

বন্ধ: সিল করা হচ্ছে অতিথি নিবাসটি।  নিজস্ব চিত্র

রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া পুরসভার অতিথি-নিবাস থেকে বেআইনি কাজের অভিযোগে এক নাবালিকা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল। আর এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া। এ জন্য শাসকদলকেই দুষছেন বিরোধীরা। শাসকদল অভিযোগ মানেনি।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, ওই অতিথি নিবাসে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি কাজ চলত। বুধবার রাতে নির্দিষ্ট খবরের সূত্রেই সেখানে হানা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে এক নাবালিকা-সহ মোট ৮ জ‌নকে আটক করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ধৃত চার জনের মধ্যে নাবালিক-সহ দুই মহিলা রয়েছেন। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জায়গায় বেআইনি কাজ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে তারা গুরুত্ব দিত না। পুলিশ অবশ্য এ অভিযোগ মানেনি। এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তারা পায়নি বলে পুলিশের দাবি।

গোটা ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোন্নগর স্টেশন রোডে সিপিএম প্রতিবাদ-সভা করে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, কোন্নগরেরই বাসিন্দা সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা পুরসভার চরম ব্যর্থতা। পুরসভা পরিচালিত অতিথি নিবাসে এটা ভাবা যায় না। এ বার অবধারিত ভাবে পুলিশ পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেবে।’’ কোন্নগরের পুরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতার কথা মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দিয়ে ওই অতিথি নিবাস চালানো হত। অভিযোগ জানার পরই লিজ বাতিল করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছে কংগ্রেস, বিজেপিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বাংলার উন্নয়নের তালিকাতে এসে গেল কোন্নগরের সরকারি গেস্ট হাউসও! কন্যাশ্রী আছে কিন্তু কন্যা বিক্রিও হচ্ছে। কী বলবে বাংলার সরকার? এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এখানে সংগঠিত অপরাধ চক্র সরকারি দলের মদতে বেড়ে চলেছে। সব কিছুর পিছনেই তৃণমূল।’’ বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উন্নয়নের বুলি মানায় না। তিনি নিজে মহিলা। কিন্তু এখানে প্রতিদিন মেয়েদের সম্মান ধুলোয় মিশছে।’’

বিরোধীদের এই কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল। তাঁর দাবি, ‘‘এটা একটা আর্থ-সামাজিক সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাকে কালিমালিপ্ত করতেই এ সব বলা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement