—ফাইল চিত্র।
ফের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল আরামবাগে। আরামবাগ শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা লিঙ্ক-রোডের ফুটপাথ দখল করে এক ব্যবসায়ী গ্যারাজ বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পুরসভা এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের। শেখ গিয়াসউদ্দিনের মতো স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কয়েকদিন আগে গ্যারাজের পিলার তৈরির সময় তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। পুরসভাকেও জানিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে গ্যারাজ নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুরসভার মদতেই এটা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। যদিও পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, “অবৈধ নির্মাণে মদত দেওয়া বা উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়। নির্মাণ বন্ধ রাখার নোটিস পাঠিয়েছিলাম। তা না হওয়ায় পুলিশকে জানিয়েছি।” এ দিকে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শেখ মোতির দাবি, “ফুটপাতে যাতায়াতের জায়গা ছেড়ে রেখে নিজের জমিতেই গ্যারাজ নির্মাণ করেছি। পূর্ত দফতরের জায়গা বা ফুটপাত দখল হয়নি।” তবে মহকুমা পূর্ত দফতরের (নির্মাণ ১) সহকারী বাস্তুকার অলক চক্রবর্তী বলেন, “পূর্ত দফতরের জায়গা দখল হয়েছে। এটা সরেজমিনে দেখে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি মহকুমাশাসকের (আরামবাগ) নজরে আনা হয়েছে। নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।” আরামবাগ শহরের বহু জায়গা থেকে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এসেছে। শহরবাসীর একাংশ মনে করেন, কাউন্সিলর এবং পুর প্রশাসনের একাংশের মদত ছাড়া শহরে এত বেআইনি নির্মাণ গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। অভিযোগ এলে শুধু নোটিস পাঠিয়েই কাজ সারে পুরসভা। কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। অবৈধ নির্মাণ ভাঙা তো দূর অস্ত, অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধ নির্মাণে মদত দেন। এর নজিরও রয়েছে। অভিযোগ, শহরের বেশ কয়েকটি পুকুর ও ডোবা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে, শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। সেচ দফতরের জায়গাও বেদখল হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্বারকেশ্বরের পূর্বদিকের বাঁধের প্রায় ৩ কিমি এলাকা জুড়ে অন্তত শ’চারেক বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রের দাবি। দু’মাস আগে পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে সেচ দফতর জানিয়েছিল, বেআইনি নির্মাণের ফলে বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় বাঁধ ভাঙলে শহর ভেসে যেতে পারে। সেচ এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে অশান্তির আশঙ্কা থাকে। তা এড়াতে পুরসভার উপরে অনেকটাই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু পুরসভাকে জানানো হলে তারা শুধু নোটিস পাঠিয়ে কাজ সারে। সক্রিয় কোনও ভূমিকা নেয় না।