—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী বেঁচে, অথচ প্রায় তিন বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন স্ত্রী!
এই অভিযোগেরই তদন্তে সারবত্তা পেয়ে তারকেশ্বরের গুড়িয়াভাটা এলাকার কল্পনা রায় নামে ওই মহিলার ওই ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিল প্রশাসন। বছর ছেচল্লিশের কল্পনাদেবীর স্বামী শশাঙ্কবাবুর গ্রামে মুদিখানা রয়েছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে কল্পনাদেবী তিন বছর ধরে মাসে ৬০০ টাকা করে বিধবা-ভাতা পেয়ে এলেন, সেটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনের কর্তাদের।
তারকেশ্বরের বিডিও জয়গোপাল পাল বলেন, ‘‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের এই ভাতা বন্ধ করা হল। তদন্ত চলছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বলা যাবে এতদিন ওই মহিলা কী ভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেন।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধবা ভাতা পেতে গেলে উপভোক্তাকে দারিদ্রসীমার নীচে থাকতে হবে। তাঁর ৬০ বছর বয়স হতে হবে। তা হলেই পঞ্চায়েতের কাছে তিনি ওই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্রীয় আর্থ-সামাজিক সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি তালিকায় তাঁর নাম থাকলে তিনি ওই ভাতা পাবেন। কিন্তু কল্পনাদেবী এই নিয়মের মধ্যে না-পড়েও ওই ভাতা পাওয়ায় কিছুদিন আগে এক গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত।
কী বলছে সন্তোষপুর পঞ্চায়েত?
পঞ্চায়েত প্রধান তিতিরানি কোলের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকার সব বাসিন্দাকে চেনা সম্ভব নয়। কী ভাবে ওই মহিলা বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন, জানি না। প্রশাসন তদন্ত করুক।’’ কল্পনাদেবী বা তাঁর স্বামী এ নিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি। কল্পনাদেবী বলেন, ‘‘কী ভাতা পাচ্ছিলাম জানি না।’’ তবে, গ্রামবাসীদের একাংশর দাবি, শুধু ভাতা বন্ধ করলেই হবে না, যাঁদের মদতে ওই মহিলা ভাতা পাচ্ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।