প্রতীকী চিত্র।
প্রায় এক বছর আগে হাওড়ার বাসিন্দাদের একাংশের থেকে বর্ধিত সম্পত্তিকর নিয়েছিল পুরসভা। এ বার পুর ভোটের মুখে তারা ঘোষণা করল, সেই বাড়তি টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাঁদের ক্ষেত্রে বর্ধিত সম্পত্তিকর প্রযোজ্য হয়নি, তাঁদের থেকে পুরনো হারেই কর নেওয়া হবে। সম্প্রতি হাওড়া পুরসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক দশক পরে বছর তিনেক আগে তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুরবোর্ড শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৪টিতে সাধারণ মূল্যায়ন (জেনারেল রিভিশন) করে। তার মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে সংশোধিত সম্পত্তিকরের বিল পাঠিয়েও দেওয়া হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশোধিত ওই বিল পাঠানো হয়েছিল ২৬ হাজার বাড়িতে। যার মধ্যে কর বৃদ্ধি পেয়েছিল ১০ হাজার বাড়িতে, কর কমেছিল ছ’হাজার বাড়িতে। বাকি ১০ হাজার বাড়িতে কর কাঠামো অপরিবর্তিত ছিল। তখনই ঠিক হয়েছিল,
ধীরে ধীরে বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও সংশোধিত সম্পত্তিকরের বিল পাঠানো হবে। কিন্তু তার আগেই পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি।
পুরসভা সূত্রের খবর, বর্ধিত কর নিয়ে আপত্তি ওঠে তৃণমূলের অন্দরেই। গত বছরের গোড়ার দিকে হাওড়া পুরসভায় এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংশোধিত কর-কাঠামো বাতিল বলে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, সংশোধিত কাঠামোয় যে দশ হাজার বাড়ি থেকে বর্ধিত কর নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বৃহস্পতিবার জানান, সেই প্রস্তুতিই এত দিন নেওয়া হয়েছে। ওই বর্ধিত করের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। পরবর্তী সম্পত্তিকরের বিলে কম নিয়ে ধাপে ধাপে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ পুরনো হারে ওই দশ হাজার বাড়ি থেকে যত টাকা কর আদায় হত, তা রেখে অতিরিক্ত টাকা ওই সব বাড়ির বাসিন্দারা ফেরত পাবেন। অন্য দিকে, যাঁদের থেকে কর কম নেওয়া হয়েছিল সেই বকেয়া কর তাঁদের পরবর্তী বিলে যোগ করে দেওয়া হবে। এর ফলে পুরসভার ভাঁড়ারে ৮০ লক্ষ টাকা আসবে।