হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে জলে ভাসছে দুর্গার মুখ। মঙ্গলবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কলকাতা পুলিশের মতোই গঙ্গার ঘাটে নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। পাশাপাশি, রাস্তায় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তার দিকেও রাখা হয়েছিল কড়া নজর। গঙ্গার ঘাট সাফ রাখতে তৈরি ছিল হাওড়া পুরসভাও।
মঙ্গলবার, দশমীর সকাল থেকেই হাওড়ার প্রায় সমস্ত ঘাটে মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী। গঙ্গায় টহল দিয়েছে পুলিশের লঞ্চ। প্রতিবারের মতো এ বারও বালিতে বিসর্জনের শোভাযাত্রার জন্য নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর থেকে দক্ষিণে গঙ্গার প্রায় ১০টি বড় ঘাট রয়েছে। সেখানে ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ঘাটে বিসর্জন হয়। প্রতিটি ঘাটেই অফিসার-সহ কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার ও অস্থায়ী হোমগার্ডদের রাখা হয়েছিল। এ দিন হাওড়ায় প্রায় ৬০০ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে।
সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) অজিত সিংহ যাদব জানান, গোটা বিসর্জনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামলাতে চারটি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, ১০টি আরএফএস, ৮০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড, ৫৭০ জন কনস্টেবল ও ২৫০ জন অফিসারকে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়াও শীর্ষ কর্তারা তাঁদের নিজেদের ডিভিশনে নজরদারি চালিয়েছেন। গঙ্গায় টহলদারির পাশাপাশি প্রতিটি ঘাটেই ছিল রাজ্য পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। জোরালো আলো-সহ প্রতিটি ঘাটে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও। শহরের যে সব মূল রাস্তা দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্র্যাফিক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। পুজোর অন্যান্য দিনের মতো দশমীতেও জাতীয় সড়কে লরি ও মালবাহী গাড়ির জন্য ‘নো-এন্ট্রি’ করা হয়েছিল। হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বিজিন কৃষ্ণ জানান, প্রতিটি ঘাটেই নির্দিষ্ট জায়গায় ফুল ও পাতা ফেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গঙ্গা থেকে কাঠামো তোলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে কর্মীদেরও।