সমর্থনে: চুঁচুড়ায় দেওয়াল লিখন তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নিবার্চনে এ বার হুগলিতে শাসকদলের ফল ভাল হয়নি। হুগলি লোকসভা হাতছাড়া হয়েছে। আরামবাগ লোকসভায় কোনওক্রমে জিতেছে দল। তার উপর হুগলির নানা প্রান্তে বিজেপি রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন নানা কর্মসূচিতে টক্কর দিচ্ছে। তাই এ বার কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের সভাকেই জেলায় শাসকদল পাখির চোখ করতে চাইছে। দলের ৩১টি টাউন কমিটি ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রচারে। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রচারে মিছিলের উপরই জোর দিচ্ছে। জেলার নেতাদের লক্ষ্য, রেকর্ড সংখ্যক লোক নিয়ে কলকাতায় ভিড় জমানোর।
হুগলিতে ফল খারাপ হওয়ার পর দলনেত্রী হুগলিতে সংগঠনের খোলনলচে বদলে দিয়েছেন। জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয় পদ থেকে। জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই নতুন দায়িত্বে এসে দিলীপবাবু ২১ জুলাইয়ের সভাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও নিজেকে প্রমাণ করার এটা একটা বড় সুযোগ তাঁর কাছে। ডানকুনিতে কিছুদিন আগে দলীয় সভায় তৈরি হয়, ২১ জুলাইয়ের সভার প্রচারে জেলার রোড ম্যাপ।
জেলা জুড়ে চলছে পথসভা, মিছিল আর জনসংযোগে পদযাত্রা। দলের তরফে হুগলির পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম নিজে কলকাতার সভাকে সফল করতে বেশ কয়েকটি পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। এলাকা ভাগ করে দলের বিধায়ক এবং সাংসদরা চরকি-পাক ঘুরেছেন। স্থানীয় নেতারাও নেমেছেন কোমর বেঁধে।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থানীয় ব্লকস্তরের কমিটির তত্ত্বাবধানে সপ্তগ্রাম, বলাগড়, আরামবাগ, চুঁচুড়া, পোলবা, ধনেখালি, তারকেশ্বর-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পথসভা হয়ে গিয়েছে। সভার সমর্থনে তৈরি হয়েছে পোস্টার। জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর তৈরি করা হয়েছে তোরণ। এখন থেকেই ছকে ফেলা হয়েছে কলকাতায় দলীয় সমর্থকেরা যাবেন কী ভাবে। স্থানীয় ব্লক স্তরের কমিটিগুলোই কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে সব কিছু চূড়ান্ত করছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘২১ জুলাইয়ের সভাকে সফল করতে দলের নেতা-কর্মীরা পরিশ্রম করছেন। এ বার বহু জায়গায় মোটরবাইক র্যালি করা হয়েছে। ২১ জুলাইয়ে হুগলি থেকে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি নজর কাড়বে।’’