ছিল থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার প্রচার

নাচ-গান, আবিরে ভাসল রঙের উৎসব

রবীন্দ্রনাথের গান, নৃত্য, প্রভাত ফেরি আর সেই সঙ্গে বাতাসে বাহারি রঙের আবির উড়িয়ে, একে অন্যকে রাঙিয়ে পালিত হল বসন্ত উৎসব। রঙের উৎসবে মেতে উঠেছিলেন কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী থেকে প্রবীণেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০২:১০
Share:

বর্ণময়: রবি ঠাকুরের গানে, নৃত্যে, বাহারি আবিরে বসন্ত বরণে বৈদ্যবাটির উৎসব ও মেলা কমিটি। ছবি: প্রকাশ পাল

রবীন্দ্রনাথের গান, নৃত্য, প্রভাত ফেরি আর সেই সঙ্গে বাতাসে বাহারি রঙের আবির উড়িয়ে, একে অন্যকে রাঙিয়ে পালিত হল বসন্ত উৎসব। রঙের উৎসবে মেতে উঠেছিলেন কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী থেকে প্রবীণেরাও।

Advertisement

হুগলির জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সংগঠনের তরফেও পালন করা হয় বসন্ত উৎসব। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের আনন্দ দিতে বসন্ত মিলনোৎসবের আয়োজন করেছি‌ল শ্রীরামপুরের রমেশচন্দ্র দেব স্মৃতিরক্ষা সমিতি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সকালে উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশন করে। শেষে ছিল লোকগানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে পুস্তিকা এবং ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়। উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর থানা থেকে মহকুমা পুলিশের আধিকারিক-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

সন্ধ্যায় প্রভাস নগরের পূর্বাশা সব পেয়েছির আসরের উদ্যোগে বসন্তোৎসব পালিত হয়। ডান্ডিয়া নাচে ছোটদের সঙ্গে মহিলা-পুরুষেরা যোগ দিয়েছিলেন। রবি ঠাকুরের গানে, আবিরে বসন্ত বরণে মেতে উঠেছিলেন সকলে। বৈদ্যবাটি উৎসব ও মেলা কমিটির উদ্যোগেও এ দিন অনুষ্ঠান হয়। কমিটির সভাপতি নরেন চট্টোপাধ্যায় জানান, বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে শহরের নার্সারি রোডে অমূল্যের বাগানবাড়িতে দিনভর অনুষ্ঠান চলে। মুক্তমঞ্চে নাচ, গান, শ্রুতিনাটক পরিবেশিত হয়। বৈদ্যবাটি এবং শেওড়াফুলির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন উৎসবে যোগ দিয়েছিল। গুপ্তিপাড়ার বড়বাজারের দোলমঞ্চে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবার ভোরে চতুর্দোলায় চেপে মন্দির থেকে বৃন্দাবনচন্দ্রের বিগ্রহকে দোলমঞ্চে আনা হয়। সেখানে ভক্তেরা রাধাকৃষ্ণের পায়ে আবির দেন। তার পরেই শুরু হয় দোলখেলা।

Advertisement

উৎসবের আবহে দেখা গিয়েছে অন্য ছবিও। দুর্ঘটনায় শিল্পী কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুতে শোক জানাতে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠান বাতিল করে রিষড়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা বাউলমন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement