মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সোমবার হাওড়ার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে রেশন কার্ড বিলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই ডিজিটাল রেশন কার্ড সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে তড়িঘড়ি মাঠে নেমে পড়ল রাজ্য খাদ্য দফতর। এ ব্যাপারে তারা জেলা খাদ্য দফতরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিদিন রাজ্য খাদ্য দফতরে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রেশন কার্ড ঠিকমতো বিলি না হওয়ার ফলে অনেকেই তা পাননি। তিনি এই বিষয়ে জনপ্রতিনিধি এবং খাদ্য দফতরকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২২ আগস্ট রাজ্য খাদ্য দফতর এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে। তাতে মূলত জোর দেওয়া হয় বিলি না হওয়া ডিজিটাল রেশন কার্ডের উপর। এ ছাড়া রাজ্য থেকে কত রেশন কার্ড জেলায় পাঠানো হয়েছে, বিলি না হওয়া রেশন কার্ড পঞ্চায়েত অফিস, পুরসভা, মহকুমা বা জেলা খাদ্য দফতরে কোথায় কত পড়ে আছে এবং সেগুলো বিলি করার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার দৈনন্দিন রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নতুন রেশন কার্ডের জন্য কত আবেদন জমা পড়েছে,
কতগুলির প্রক্রিয়া চলছে বা বাতিল হয়েছে সে বিষয়েও দৈনন্দিন রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলা খাদ্য দফতর কাজ শুরু করে দিয়েছে। শুক্রবার জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকা সত্ত্বেও ওই দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বিলি না হওয়া রেশন কার্ডের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। রাজ্য খাদ্য দফতর থেকে যে কার্ড আসে, তা দ্রুত বিলি হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘নামের বানান ভুল হওয়া বা ঠিকানায় গোলমাল থাকার ফলে হয়তো কিছু রেশন কার্ড বিলি করা হয়নি।’’
শুক্রবার জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘খাদ্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা বিভিন্ন পঞ্চায়েতে গিয়ে দেখব, বিলি না হওয়া কত কার্ড পড়ে আছে। সেগুলো দ্রুত বিলি করা হবে।’’