সমন্বয় বাড়াতে মাঠের লড়াইতে স্কুল শিক্ষকরা 

পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে গত এক দশক ধরে দু’পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে আসছে হরিপালের প্রত্যন্ত এলাকা চিত্রশালীর গজা উচ্চ বিদ্যালয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

যুুযুধান: বিদ্যালয় লাগোয়া মাঠে লড়াই দুই দলের শিক্ষকদের। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। তাঁদের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। শেষ বিচারে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা জিতলেন ২১ রানে।

Advertisement

পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে গত এক দশক ধরে দু’পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে আসছে হরিপালের প্রত্যন্ত এলাকা চিত্রশালীর গজা উচ্চ বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয় লাগোয়া বিশ্ব সেবা সঙ্ঘ নামে একটি ক্লাবের মাঠে বৃহস্পতিবার এই খেলার আসর বসেছিল। খেলাকে ঘিরে হরিপাল পূর্ব চক্রের প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের মেলা বসে গিয়েছিল! মাঠে খেললেন বাইশ জন। বাইরে ছিলেন আরও জনা ষাটেক শিক্ষক-শিক্ষিকা। ছাত্রছাত্রী, গ্রামবাসীও ভিড় জমালেন।

গজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘শিক্ষার পরিবেশ এবং পরিকাঠামোর সমস্যা কাটিয়ে ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষিত করতে হলে প্রাথমিকের সঙ্গে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে মেলবন্ধন জরুরি। কেননা, একটি ছেলে বা মেয়ে প্রাথমিক স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আসে। তাই দুই পর্যায়ের শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে এই আয়োজন।’’

Advertisement

একটি দলের নাম ছিল সিআরসি (চিত্রশালী পূর্ব চক্র প্রাথমিক শিক্ষক)। অপর দল গজা উচ্চ বিদ্যালয়। দু’টি দলেই ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে গজা উচ্চ বিদ্যালয় নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৩ রান করে। জবাবে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১০২ রানে সিআরসি-র ইনিংস থেমে যায়। জেজুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্ঘ্য পোড়েল ম্যাচের সেরা হন। দল হারলেও ৩০ রান করে সেরা ব্যাটসম্যান হন চিত্রশালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিষেক মুখোপাধ্যায়। চন্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাজমুজ সাহাদাদ সেরা বোলার। আয়োজক স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক শুকদেব হেমব্রম সেরা ফিল্ডারের সম্মান পান।

জেজুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন দাস, শান্তিপুর ভবেন্দ্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক স্বপন দে, উদ্যোক্তা বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি চন্দ্রশেখর নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে একসাথে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন।

মাঠে ছিলেন হরিপাল পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এমন স্বাস্থ্যকর লড়াই শিক্ষার পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভাল বার্তা।’’

গজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, নানা সমস্যায় অন্য স্কুলের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিঙ্করবাটী পারজানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভুগোলে পিএইচডি করেছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি গজা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তাহে এক দিন করে ভুগোল পড়াচ্ছেন। গজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরূপ বিশ্বাস গজা হাইস্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাহায্য করেন। শিক্ষকেরা মনে করেন, সহযোগিতা পারস্পরিক মেলবন্ধনের ফসল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement