ট্র্যাফিক পুলিশকে ‘হেনস্থা’, ধৃত দুই

জাতীয় সড়ক দিয়ে যাবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাস্তার ধারের সার্ভিস রোড থেকে বেআইনি পার্কিং সরাচ্ছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে একটি লাক্সারি বাস সরানো নিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বাসমালিক ও তাঁর ছেলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১০
Share:

জাতীয় সড়ক দিয়ে যাবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাস্তার ধারের সার্ভিস রোড থেকে বেআইনি পার্কিং সরাচ্ছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে একটি লাক্সারি বাস সরানো নিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বাসমালিক ও তাঁর ছেলের। তখনই আচমকা ওই পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে বালির ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের রিফিল পেট্রোল পাম্পের সামনে। অন্য পুলিশ অফিসারেরা তা দেখতে পেয়ে বাসমালিক আশাদ পারভেজ ও তাঁর ছেলে আশফার ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জানায়, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও হেনস্থা, মারধর করার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন মু‌খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূমে এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের হুগলিতে যাওয়ার পথ ছিল বালির ওই জাতীয় সড়ক। সেই মতো দুপুর ১২টা নাগাদ সার্ভিস রোডে বেআইনি ভাবে পার্কিং করে রাখা লরি, ট্রাক সরিয়ে দিচ্ছিলেন বালির মাইতিপাড়া সাব ট্র্যাফিক গার্ডের এএসআই তুষারকান্তি বৈদ্য। অভিযোগ, ওড়িশা রেজিস্ট্রেশনের একটি লাক্সারি বাস দাঁড়িয়েছিল। তার চালককে বারবার বলার পরেও বাস না সরানোয় তুষারবাবু গাড়ির কাগজপত্র চান। তখনই চালক ফোন করে ডাকেন আশাদদের।

পুলিশ জানায়, কিছু ক্ষণের মধ্যে আশাদ ও আশফার এসে উপস্থিত হন। অভিযোগ, সার্ভিস রোড থেকে বাস কেন সরাতে হবে প্রশ্ন তুলে তুষারবাবুর ছবি মোবাইল বন্দি করতে শুরু করেন আশাদ। ওই পুলিশ অফিসার আপত্তি জানাতেই খেপে ওঠেন আশফার। আচমকাই তুষারবাবুকে ধাক্কা মারতে মারতে রাস্তার ধারে ফেলে দেন। অফিসারের হাত থেকে ওয়াকিটকি ছিটকে রাস্তার ধারে পড়ে যায়। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা নিশ্চিন্দা থানার ওসি-সহ পুলিশ বাহিনী দেখতে পেয়ে এসে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement