নালিকুল ১৪ নম্বর রেলগেটের উপর অসমাপ্ত উড়ালপুল। ছবি: দীপঙ্কর দে
রেলের অংশের কাজ না-হওয়ায় নালিকুলে লেভেল ক্রসিংয়ের উপরে উড়ালপুল তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। ফলে, যানজটের সমস্যা মিটছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। রেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই কাজ করে ফেলা হবে।
শ্রীরামপুরের দিক তারকেশ্বরে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোড। কিন্তু এই রাস্তার উপরে রেললাইনে পর পর দু’টি লেভেল ক্রসিং যানবাহনের গতিকে অত্যন্ত শ্লথ করে দেয়। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বছর তিনেক আগে কামারকুণ্ডু এবং নালিকুলে লেভেল ক্রসিংয়ে উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়। স্থির হয়, রাজ্য সরকারের জমিতে পূর্ত দফতর উড়ালপুলের কাজ করবে। দু’দিকের ওই নির্মাণের সঙ্গে রেললাইনের উপরের অংশ জোড়ার কাজ করবে রেল। রাজ্য সরকারের অংশের কাজ অন্তত বছর খানেক আগে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রেলের কাজ পড়েই ছিল।
লকডাউন-পর্বে কামারকুণ্ডুতে রেল তাদের অংশে সেতু জোড়ার কাজ করে ফেলেছে। কিন্তু নালিকুলের ক্ষেত্রে তা এখনও করা হয়নি। লকডাউনে দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ ছিল। সেই সময়ে ওই কাজ করে ফেলা সহজতর হত বলে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য।
তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটী রোডের ধারে বেশ কিছু হিমঘর রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আলুর মরসুমে হিমঘরমুখী ট্রাক এই রাস্তাকে অনেকটাই গতিহীন করে দেয়। আলুবোঝাই ট্রাক বা অন্য গাড়ির সারিতে যানজট হয়। তার উপরে বিশেষত কামারকুণ্ডুতে এক বার রেলগেট পড়লে কর্ড শাখায় ব্যস্ততার কারণে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ হা-পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে হাওড়া-তারকেশ্বর শাখার নালিকুলেও রেলগেট পড়লে অপেক্ষমাণ গাড়ি বা পথচারীকে দুর্ভোগে জেরবার হতে হয়। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই এবং স্থানীয় মানুষজনের দাবির প্রেক্ষিতে ওই দু’টি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু, তিন বছর পেরিয়েও ওই কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন অসন্তুষ্ট।
হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেলের একটি কমিটিতে আমি রয়েছি। সেই সুবাদে বিভিন্ন বৈঠকে রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, নালিকুল স্টেশনের বকেয়া কাজ করে দেওয়া হোক।’’ রেল কবে ওই কাজ করে, সেটাই দেখার।