নৈশালোকে সাজবে চুঁচুড়ার ইস্টার্ন ময়দান

এ বার শুরু হয়েছে আলোকস্তম্ভ বসানোর তোড়জোড়। মাস কয়েক আগে থেকে রাজ্যের প্রতিটি শহরকে পরিবেশ-বান্ধব চেহারা দিতে ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্প শুরু করেছে নবান্ন। সেই প্রকল্পের আওতাতেই আলোকস্তম্ভ বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তাপস ঘোষ

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০০:৫২
Share:

আলোয়: নৈশালোকের ব্যবস্থা হয়েছে এই মাঠেই। নিজস্ব চিত্র

নতুনভাবে সেজে উঠছে চুঁচুড়ার ইস্টার্ন ময়দান। বসছে আলোকস্তম্ভ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি।

Advertisement

সম্প্রতি ওই মাঠটির চারিদিকে লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মাঠের তিন দিকে বসানো হয়েছে লোহার গেট। একপাশে তৈরি হয়েছে সাজঘর। এ বার শুরু হয়েছে আলোকস্তম্ভ বসানোর তোড়জোড়। মাস কয়েক আগে থেকে রাজ্যের প্রতিটি শহরকে পরিবেশ-বান্ধব চেহারা দিতে ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্প শুরু করেছে নবান্ন। সেই প্রকল্পের আওতাতেই আলোকস্তম্ভ বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হুগলি জেলা সদর হিসাবে চুঁচুড়ার ঐতিহ্য রয়েছে। শহরের খেলার মান বাড়ানোর জন্য মাঠগুলির সংস্কার করা হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ইস্টার্ন ময়দানকে বড়ো প্রতিযোগিতার উপযোগী করা তোলা হচ্ছে। সেখানে নৈশালোক বসানোর জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষা।’’

Advertisement

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার এক কর্তা জানান, তাঁদের পাঠানো প্রস্তাব অনুযায়ী মাঠটির চার দিকে মোট আটটি আলোক স্তম্ভ লাগানো হবে। এক-একটির উচ্চতা হবে ৬০ ফুটের বেশি। একটি স্তম্ভে ১৫টি করে আলো থাকবে। মাঠটিকে কলকাতা ময়দানের সমকক্ষ করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ইস্টার্ন ময়দানকে নতুন করে সাজানোয় খুশি স্থানীয় ফুটবলপ্রেমীরাও। চুঁচুড়ার বাসিন্দা ননীগোপাল দে বলেন, ‘‘খেলা ভালোবাসি। কিন্তু সময়ের অভাবে কলকাতার মাঠে যাওয়া সব সময় সম্ভব হয় না। চুঁচুড়ায় খেলার উপযোগী মাঠের সংখ্যা কম। এই বিষয়ে পুরসভা ভাবছে শুনে ভালো লাগছে।’’

হুগলি জেলার প্রাক্তন ফুটবলার তনুময় বসু বলেন, ‘‘সংস্কারের পরে ইস্টার্ন ময়দান এখন যে কোনও স্তরের প্রতিযোগিতা খেলা যেতে পারে। মাঠে আলোর ব্যবস্থা হলে সেটি কলকাতার মাঠের সমতুল্য হয়ে যাবে। তখন মাঠে ছোটদের আই লিগের খেলানোর জন্য প্রস্তাব পাঠাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement