বন্ধ: হাওড়ার শ্যামপুরে মাইক, ডিজে বক্স বাজিয়ে রাজ্যপালের অনুষ্ঠান। ছবি: সুব্রত জানা
মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় হাওড়ার শ্যামপুরে রাজ্যপাল এবং প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই বাজল মাইক ও ডিজে বক্স। যদিও কয়েক ঘণ্টা আগে হুগলির শ্রীরামপুরে এক অনুষ্ঠানে মাইক বাজাতে নিষেধ করেন রাজ্যপাল নিজেই। বক্তৃতা করে বিনা-মাইকে।
বুধবার শ্যামপুরের অনন্ত মিল মাঠে কালীপুজোর মেলার উদ্বোধন করতে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে তারস্বরে মাইক ও ডিজে বক্স বাজানো হয়। রাজ্যপাল চলে যাওয়ার পরেও রাত পর্যন্ত মাইক বাজে বলে অভিযোগ।
রাজ্যপালের সামনে মাইক বাজানোর কথা অস্বীকার করছেন না মেলা কমিটির সম্পাদক ভোলানাথ মণ্ডল। তবে তিনি বলেন, ‘‘মেলায় মাইক ও ডিজে বাজলেও শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিল। শব্দ নিয়ন্ত্রণে রেখেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করেছি।’’ স্থানীয় বিধায়ক কালীপদ মণ্ডলের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে সরকার মাইক বাজানো নিয়ে বার বার সচেতন করছে। রাজ্যপালের সামনেই যদি এ রকম ঘটনা ঘটে, তা হলে আর কী বলার আছে!’’ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেছেন মহকুমাশাসক (উলুবেড়িয়া) তুষার সিংলা। যদিও হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাইক বা ডিজে বক্স বাজানোর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরেও কী করে তা বাজানো হল, তদন্ত করে দেখা হবে।’’
মেলা প্রাঙ্গণে অনেক দোকানপাট বসেছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এলাকা জুড়ে লাগানো হয়েছে মাইক। রয়েছে গোটা দশেক ডিজে বক্স। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় অনেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আছে। এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘‘মাইকের দাপটে মধ্যে পড়াশোনা করা যায় না। কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারি না।’’
এ দিন দুপুরে হুগলির শ্রীরামপুরে আয়োজিত ‘শ্রী শ্রী শিবশঙ্কর জিউ কৃষি কলা শিল্প প্রদর্শনী ও মেলা’র উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যপাল নিজেই মাইক বাজাতে নিষেধ করেন।