বাজেয়াপ্ত: ডানকুনি থানায় নকল ওষুধ। ছবি: দীপঙ্কর দে
ট্রাকের ভিতরে থরে থরে সাজানো শিশি আর ছিপি। পাশের ড্রামে ভর্তি লাল রঙের তরল, যার পুরোটাই নকল ওষুধ।
রাজ্যে পরপর জাল চিকিৎসক নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই জাল ওষুধের হদিস মিলল হুগলির ডানকুনিতে। মঙ্গলবার ডানকুনি চৌমাথায় দিল্লি রোডে ওই ট্রাক থেকে প্রায় এক হাজার লিটার জাল তরল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ট্রাকের চালক। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সোমবারই হুগলির ডানকুনি থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিল, তাদের তৈরি অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ নকল হচ্ছে। তার তদন্তে নেমে এ দিন জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কিছু শিশিতে ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লেবেলও সাঁটা ছিল। হুগলির পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘ওই তরল-সহ অন্যান্য জিনিস কোথা থেকে আনা হচ্ছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।’’ ধৃত ট্রাক চালক দেবীপ্রসাদ রাইকে এ দিন শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। মাস খানেক আগে হুগলি জেলারই শ্রীরামপুরে এক ওষুধ বিক্রেতার দোকান থেকে জাল ওষুধ উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং জেলা ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা। এ বার সেই জেলাতেই নকল তরল ওষুধ উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটি এ দিন দিল্লি রোড ধরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকে ছিল প্রায় ৮ হাজার খালি শিশি, কয়েক হাজার ছিপি ও ড্রামে প্রায় এক হাজার লিটার তরল ওষুধ। তদন্তকারীদের অনুমান, ট্রাকটিকে কোনও গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিশিগুলিতে নকল ওষুধ ভরে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই তরলে ঠিক কী কী উপাদান রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।