হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের আরও একটি পঞ্চায়েতের ক্ষমতা সিপিএমের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। বুধবার ইলছোবা-দাসপুর প়ঞ্চায়েতে তাদের আনা অনাস্থায় হেরে গেলেন সিপিএম প্রধান।
ওই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে সিপিএমের হাতে ছিল সাতটি আসন। পাঁচটি তৃণমূলের দখলে ছিল। অপরটি সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের দখলে। সম্প্রতি প্রধান মনিকা সিংহের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন তৃণমূল সদস্যরা। মাসদু’য়েক আগে উপপ্রধান মুন্সি আমিনুদ্দিন এবং প্রশান্ত মণ্ডল নামে আরও এক সদস্য তৃণমূল যোগ দেন। অনাস্থা প্রস্তাবে তাঁরাও সই করেন।
বুধবার পঞ্চায়েত দফতরে অনাস্থার উপর ভোটাভুটি হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা সাত জনই প্রধানের বিপক্ষে ভোট দেন। প্রধান-সহ অন্যরা হাজির হননি। ফলে প্রধান হেরে যান। পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, তৃণমূল নেতা অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিপিএম ওখানে উন্নয়নের কোনও কাজ করতে পারছিল না। পরিষেবা থেকে গ্রামবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এ বার আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করব।’’
অভিযোগ উড়িয়ে মনিকাদেবী বলেন, ‘‘আমরা উন্নয়নের কাজ করছিলাম কি না, ১৮টা গ্রামের মানুষকে তা জিজ্ঞাসা করুন। সর্বৈব মিথ্যা বলছে ওরা। সত্যাসত্য তো জনগণ বিচার করবে।’’ দুই সদস্যের দলত্যাগ প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা অন্য দলে গিয়েছেন, তাঁরা লোভে পড়ে গিয়েছেন।’’ অসিতবাবুর অবশ্য দাবি, উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই ওই দু’জন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবির মধ্যেও পান্ডুয়া প়ঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল সিপিএম। ব্লকের ১৬টির মধ্যে ১৩টি প়ঞ্চায়েতে জিতেছিল তারা। গত কয়েক মাসে চারটি পঞ্চায়েত সিপিএমের থেকে হাতিয়ে নেয় রাজ্যের শাসক দল। এ দিন তার সঙ্গে আরও একটি সংযোজন হল। ফলে সিপিএম এবং তৃণমূল দু’দলের হাতেই এখন ৮টি করে পঞ্চায়েতের দখল রইল।