খাড়ুবেড়িয়া

অনাস্থায় হার, প্রধান পদ খোয়াল সিপিএম

যা হওয়ার ছিল সেটাই হল। ভোটাভুটিতে অনাস্থায় হেরে পঞ্চায়েতের প্রধান পদ হাতছাড়া হল সিপিএমের। হাওড়ার শ্যামপুর ২ ব্লকের খাড়ুবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিধানসভার ভোট মিটতেই সিপিএম প্রধান কাকলি মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৮:২৯
Share:

যা হওয়ার ছিল সেটাই হল।

Advertisement

ভোটাভুটিতে অনাস্থায় হেরে পঞ্চায়েতের প্রধান পদ হাতছাড়া হল সিপিএমের। হাওড়ার শ্যামপুর ২ ব্লকের খাড়ুবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিধানসভার ভোট মিটতেই সিপিএম প্রধান কাকলি মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। সোমবার সেই অনাস্থার পক্ষে ভোটাভুটিতে কোনও সিপিএম সদস্য অংশ না নেওয়ায় ১৩-০ ফলে হেরে যান কাকলি দেবী।

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূলই। পঞ্চায়েতের ২১ জন সদস্যর মধ্যে তৃণমূলের ১৩ ও বামেদের ৮ জন সদস্য ছিলেন। প্রধান পদ সংরক্ষিত ছিল মহিলা (ওবিসি)-র জন্য। কিন্তু সংরক্ষিত পদে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী জিততে না পারায় সিপিএমের জেতা মহিলা ওবিসি সদস্যকে প্রধান পদে বসাতে বাধ্য হয় তৃণমূল। যদিও তখন থেকেই প্রধানকে হটাতে রণকৌশলও ঠিক করতে নেমে পড়ে তারা। তারই অঙ্গ হিসাবে জেতা দলীয় এক পুরুষ সদস্যকে পদত্যাগ করিয়ে তাঁরই স্ত্রীকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনা করে তারা। ওই মহিলা ওবিসি সম্প্রদায়ের। তাঁকে প্রধান পদে প্রার্থী করে সিপিএমের প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ছিল তৃণমূলের পরিকল্পনা। কিন্তু সরকারি নীতির ফলে তৃণমূলের বাড়া ভাতে ছাই পড়ে। সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পঞ্চায়েত গঠনের পর আড়াই বছরের আগে কোনও প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। ফলে বছর খানেক আগে উপনির্বাচনে তাদের দলের ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলা জিতলেও তাঁকে প্রধানের কুর্সিতে বসাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু গত ১ জুন আড়াই বছরের সময়সীমা পেরোতেই তৎপর হয় তারা। বিধানসভার ভোট মিটতেই সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। শ্যামপুরের তৃণমূল নেতা নদেবাসী জানা বলেন, ‘‘এটাই স্বাভাবিক ছিল। আমাদের দলের সদস্য প্রধান না থাকায় পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যহত হচ্ছিল।’’

Advertisement

ভোটে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে শ্যামপুরের সিপিএম নেতা মহেন্দ্র রায় বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ অনুযায়ীই সদস্যরা ভোটে অংশ নেননি। যেহেতু পঞ্চায়েতে গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য কম ছিল তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভোটে অংশ নেব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement