হুগলিতে নালিশ সিপিএমের

কোটা ‘পূরণে’ জোর করা হচ্ছে কর্মীদের

বেঁধে দেওয়া হয়েছে কোটা। হুগলি জেলা থেকে মোট তিন লক্ষ সমর্থককে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে এমনই খবর। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে জেলা নেতৃত্বের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

বেঁধে দেওয়া হয়েছে কোটা। হুগলি জেলা থেকে মোট তিন লক্ষ সমর্থককে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে এমনই খবর। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে জেলা নেতৃত্বের।

Advertisement

সমাবেশের প্রস্তুতিতে দিন কয়েক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেওড়াফুলিতে সভা করে গিয়েছেন। তাগিদ শুরু হয়ে গিয়েছিল তখন থেকেই। রাজ্য নেতৃত্বের কোটা পূরণে তখন থেকেই ময়দানে জেলা নেতৃত্ব। আর সেই আবহেই বিরোধী সিপিএম, বিজেপি-র অভিযোগ, লক্ষ্যে পৌঁছতে তাঁদের দলের কর্মীদেরও সমাবেশে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। জোর করা হচ্ছে। যদিও বিরোধীদের এমন দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে দলের কর্মীরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। তবে এবার উৎসাহ অনেক বেশি। দলের বিপুল জয় কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে।’’ কিন্তু সিপিএমের অভিযোগ? দিলীপবাবুর উত্তর, ‘‘ওঁরা এ সব অভিযোগ তো কবে থেকেই করে আসছেন। সারবত্তা বলে কিছু নেই।’’ শাসকদলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্বও। দলের জেলা নেতা ও আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মসূচী কোনও দলের থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে এই আস্ফালন? এটা কিন্তু মানা যায় না।’’

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই জেলা জুড়ে কর্মীদের সংগঠিত করতে ছোট ছোট সভার আয়োজন। কে কার সঙ্গে কলকাতার সভায় যাবেন তার চূড়ান্ত তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূল নেতারা। জেলার ১৮টি ব্লক থেকে ঠিক কতগুলো বাস ছাড়বে, সেই ব্যাপারে ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন কারা সে সব নিয়ে চলেছে পরিকল্পনা।

তবে শাসকদলের নেতারা অস্বীকার করলেও শুধু জোর করে সভায় নিয়ে যাওয়া নয়, এমনকী রাস্তায় নেমে বাস দখল করতেও তাঁদের কর্মীদের কাজে লাগাো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘সারা বছর ঝামেলা পোয়ানোর থেকে, একদিন কলকাতায় গেলেই মিটে গেল। সেটা ভেবে দলের অনেক কর্মী-সমর্থকই তা মেনে নিয়েছেন। তাই বলে ঢিল ছুঁড়ে বাস থামানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে সামনের সারিয়ে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ছেলেদের। এটা ঠিক হচ্ছে না।’’

বুধবার দিনভপ জেলার বিভিন্ন অংশে জোর করে বাস দখলের অভিযোগ উঠেছে শাসকদের বিরুদ্ধে। আরামবাগের মতো জায়গায় সারাদিন দূরপাল্লার বাস মেলেনি। কোনও কোনও রুটে বাসচালকেরা ভয়ে বাস তুলে নিয়েছেন। তার ফল ভুগতে হয়েছে যাত্রীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারকেশ্বরের এক বাসমালিক বলেন, ‘‘একদিনের জন্য হলেও আমাদের কিন্তু কার্যত তিনদিন রুট মার খাচ্ছে। এতে অনেক টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি, বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত অবশ্য বক্তব্য, ‘‘অঞ্চল এবং ব্লক স্তরের নেতাদের আগাম নির্দেশ দিয়েছি, দলের নাম করে কোথাও কোনও অনৈতিক কাজ করা যাবে না। তা হলে দল ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement