বিপজ্জনক: কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিতে যাত্রীদের ভিড়। বুধবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। ছবি: তাপস ঘোষ
বুধবার থেকে চুঁচুড়া-ধর্মতলা রুটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) বাস চলাচল শুরু হল। লকডাউন পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় এই বাস পরিষেবায় বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে নিগমের আধিকারিকদের দাবি।
বুধবার সকালে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে ওই বাস পরিষেবার সূচনা করেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। উপস্থিত ছিলেন নিগমের এমডি গোদালা কিরণকুমার, স্থানীয় বিধায়ক তথা নিগমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসিত মজুমদার। অসিতবাবু জানান, চুঁচু্ড়া থেকে জিটি রোড দিয়ে শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া হয়ে বালি, ডানলপ, সিঁথির মোড় হয়ে মহত্মা গাঁধী রোড ছুঁয়ে ধর্মতলায় পৌঁছবে বাসটি। সর্বনিম্ন ভাড়া ৯ টাকা। চুঁচু্ড়া থেকে ধর্মতলার ভাড়া ৪০ টাকা। সকাল সাড়ে ৭টা এবং সাড়ে ৮টায় চুঁচু্ড়া থেকে বাস ছাড়বে। ধর্মতলা থেকে ফেরার বাস ছাড়বে বিকাল সাড়ে ৫টা এবং সাড়ে ৬টায়।
লকডাউন শিথিল হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। ব্যবসা-বাণিজ্যও শুরু হয়েছে। তাই জেলা থেকে মানুষের কলকাতায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। কিন্তু হুগলিতে এখনও বেসরকারি বাস খুব বেশি সংখ্যায় চালু হয়নি। সরকারি বাস চালুর খবরে এ দিন ঘড়ির মোড়ে যাত্রীদের লাইন পড়ে যায়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘যানবাহন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এই বাস চালুর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’’ গোদালা কিরণকুমার জানান, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী বাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিনও বিভিন্ন জায়গায় বাসের অভাবে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। শ্রীরামপুর থেকে কলকাতাগামী একটি এবং আরামবাগ মহকুমা থেকে ছয়টি ভিন্ন রুটে বেসরকারি বাস চলেছে। শ্রীরামপুর থেকে সল্টলেক এবং গোঘাট থেকে করুণাময়ী রুটে বাস চলে। তবে, দূরপাল্লার রুটের বাসে যাত্রী মেলেনি বলে দাবি করেছেন জেলার দূরপাল্লার বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক গৌতম ধোলে।
এ দিকে, শ্রীরামপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস চালুর দাবি ফের জোরাল হয়েছে। নাগরিক সংগঠন ‘অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম’-এর তরফে ওই দাবিতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শৈলেন পর্বত বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত অন্তত চারটি বাস চালান হোক। তাতে শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর এবং উত্তরপাড়া শহরের মানুষ উপকৃত হবেন। চুঁচুড়া থেকে যে বাস জিটি রোড ধরে চলবে, এই সব শহর থেকে তাতে তো ওঠার উপায় থাকবে না।’’