করোনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দুই জেলার প্রশাসনের

রোজ গড়ে ১৩০ আক্রান্ত হাওড়ায়

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলাশাসক মুক্তা আর্য ১৪টি ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসন নিয়মিত নজরদারি করবে। ব্যাপক প্রচারও করা হবে। বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রয়োজন হলে একটি বড় বাজারকে একাধিক ভাগে ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসানো হবে। যাতে একটি জায়গায় বেশি লোকের জমায়েত না হয়। বাজারের সময়ও বেঁধে দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

নুরুল আবসার 

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৬:০৮
Share:

ফাঁকা উলুবেড়িয়ার ওটি রোড। ছবি: সুব্রত জানা

এক সপ্তাহ ধরে হাওড়া জেলায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার গড়ে ১৩০ জন করে। সরকারি এই পরিসংখ্যানই উদ্বেগ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকার, বিশেষ করে উলুবেড়িয়া মহকুমার ৯টি ব্লকের পরিস্থিতি যে বেশ খারাপ, তা মানছেন তাঁরা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা, বাজারে ভিড় কমানো-সহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত বলবৎ করতে কড়া হওয়ার বার্তা দিল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলাশাসক মুক্তা আর্য ১৪টি ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসন নিয়মিত নজরদারি করবে। ব্যাপক প্রচারও করা হবে। বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রয়োজন হলে একটি বড় বাজারকে একাধিক ভাগে ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসানো হবে। যাতে একটি জায়গায় বেশি লোকের জমায়েত না হয়। বাজারের সময়ও বেঁধে দেওয়া হতে পারে।

বাজার-দোকানগুলির বিষয়ে প্রত্যেক বিডিওকে তাঁর এলাকার পরিস্থিতি দেখে কী করণীয় তা রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও কোন কোন এলাকায় সংক্রমণ বেশি তা সমীক্ষা করে দেখা হবে এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সঙ্গে নিয়ে সেই এলাকায় আরও বেশি নজরদারি চালানো হবে। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিডিওদের।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, যে কোনও উপায়ে সংক্রমণ কমানোই এখন তাঁদের লক্ষ্য। সেটার জন্য যা প্রয়োজন তা করতে হবে। কোনও ঢিলেঢালা মনোভাব দেখানো যাবে না।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১ হাজার ৬৯০, কমল দৈনিক সংক্রমণের হার

এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও সমস্যা না-থাকলেও জেলা প্রশাসনের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। উপসর্গহীনদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো হচ্ছে। বাড়িতে যাঁদের জায়গা নেই, তাঁদের জন্য করা হয়েছে ‘সেফ হাউস।’ যাঁরা উপসর্গ-সহ পজ়িটিভ, তাঁদের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ, রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার, দাবি গবেষণায়

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, তাও তো নমুনা পরীক্ষার হার কমিয়ে এই অবস্থা। ‘র্যা পিড’ পরীক্ষা হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ত।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্যামপুর-১, শ্যামপুর-২, বাগনান-১, বাগনান-২, আমতা-১, আমতা-২, উদয়নারায়ণপুর, উলুবেড়িয়া-১, উলুবেড়িয়া-২ এবং উলুবেড়িয়া পুর এলাকার অবস্থা খারাপ। বর্তমানে হাওড়ায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ৮৫। সেখানে পুরোপুরি লকডাউন চলছে। উলুবেড়িয়া পুর এলাকায়

আবার কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে বাজার-দোকানগুলিতে চালু হয়েছে আংশিক লকডাউন। এখনই না হলেও ভবিষ্যতে পুরো গ্রামীণ এলাকায় উলুবেড়িয়া পুর এলাকার মডেল চালু করা যায় কিনা, সে বিষয়টি নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে বিডিওদের বৈঠকে আলোচনা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement