রাজ্যের কোথাও জলের জন্য কোনও রকম ভাবে টাকা নেওয়া হয় না। তারই উল্টো ছবি দেখা গেল পান্ডুয়া ব্লকের একটি পঞ্চায়েতে। প্রায় দু’বছর ধরে ওই শিখিরা-চাঁপ্তা পঞ্চায়েত এই টাকা নিয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যায় ভাবে এই টাকা নেওয়ায় সম্প্রতি এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো বিক্ষোভ উঠে গেলেও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানান, এই ব্লকের অধীনে ১৬টি পঞ্চায়েত রয়েছে। এই শিখিরা-চাঁপ্তা ছাড়া আর কোনও পঞ্চায়েত তাঁদের কাছ থেকে জলের জন্য কোনওরকম ভাবে টাকা নিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই আছে জলের জন্য কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে কর নেওয়া যাবে না। সেখানে পান্ডুয়ার এই পঞ্চায়েত জলের জন্য টাকা নিচ্ছে কেন? শিখিরা-চাঁপ্তা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ কুণ্ডু বলেন, ‘‘বাড়িতে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য ২২০০ টাকা করে নিচ্ছি। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে বিপিএল তালিকাভুক্ত বা গরিব মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা ছাড় দিয়ে ২০০০ টাকা করে নেওয়া হয় সংযোগের জন্য।’’ এই টাকা নেওয়ার জন্য কারও অনুমতি নেওয়া হয়েছে? উত্তরে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ যদিও এলাকার তৃণমূল নেতা মকবুল করিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে জলকর নিতে নিষেধ করেছেন। তার পরেও এই পঞ্চায়েত কী করে রক্ষণাবেক্ষণ ও জল দেওয়ার জন্য কর নিচ্ছে জানি না।’’
এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই আছে জলের জন্য কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে কোনওরকম কর নেওয়া যাবে না। তার পরেও ওই পঞ্চায়েত রক্ষণাবেক্ষণের নামে কী ভাবে টাকা নিচ্ছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’