‘নির্মল জেলা’ ঘোষণার আগেই বিতর্ক

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলিকে ‘নির্মল জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তোড়জোড় শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলিকে ‘নির্মল জেলা’ হিসেবে ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তোড়জোড় শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে গোঘাট ২ ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের সাতবেড়িয়া গ্রামের পাঁচটি পরিবার বিড়ম্বনায় ফেলল জেলা প্রশাসনকে। ওই পাঁচটি পরিবার উপভোক্তা খাতের টাকা জমা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শৌচাগার পাননি বলে শুক্রবার বিকেলে বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছে। বিডিও অরিজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।’’

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাতবেড়িয়া গ্রামের রেখা রায়, কমলা মল্লিক, মন্টু গায়েন, টগরী দাস এবং মলিনা ধারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা পঞ্চায়েতে উপভোক্তা খাতের ৯০০ টাকা করে জমা দেওয়া দিয়েছেন। এক বছর হয়ে গেল শৌচাগার পাননি। রেখা রায়ের অভিযোগ, ‘‘এক বছর ধরে শৌচাগার নির্মাণের কথা বলছে পঞ্চায়েত। তা হয়নি। উল্টে আমাদের স্থানীয় স্কুল বা অন্য বাড়িতে শৌচকার্যে যেতে চাপ দিচ্ছে পঞ্চায়েত।’’ যদিও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রকল্প সুপারভাইজার ভৈরব ওরফে কাশীনাথ মালিক বলেন, ‘‘২০১২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ওই ৫ জনের মধ্যে শুধুমাত্র মলিনা ধারার নাম আছে। বাকিদের নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। খুব শীঘ্রই বাকি শৌচাগার নির্মাণ হয়ে যাবে।’’

বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গায় পরিবারের শৌচাগার নির্মাণের জায়গা নেই। তাই স্থানীয় স্কুল বা প্রতিবেশীর শৌচাগার আপাতত ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) শ্রাবনী ধর বলেন, “এ রকম পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে বিডিওদের।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement