সময়সীমা শেষ, বের হয়নি সব আলু
Potatoes

এখনও হুগলিতে মজুত ২ লক্ষ টন

রাজ্যে এমন বহু হিমঘর রয়েছে, যেখানে ৬০-৭০ হাজার প্যাকেট আলু এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:৩৬
Share:

হিমঘরের শেডের নীচে আলু মজুত করে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার চণ্ডীতলায়।ছবি: দীপঙ্কর দে

হিমঘর থেকে আলু বের করার জন্য সরকারের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়েছে সোমবার। তবু হুগলির হিমঘরগুলিতে পড়ে রইল প্রায় ২ লক্ষ টন আলু।

Advertisement

আলুর দামে লাগাম টানতে সরকারের নির্দেশ ছিল ৩০ নভেম্বরের মধ্যে খালি করে দিতে হবে রাজ্যের সবক’টি হিমঘর।

সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কী চিত্র হুগলির?

Advertisement

হিমঘর মালিকদের সংগঠন সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত জেলার ১৪২টি হিমঘরে রয়ে গিয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টন আলু। ১৪২টি হিমঘরের আলু সংরক্ষণের ক্ষমতা ২০ লক্ষ টন। এ বার হিমঘরগুলিতে ঢুকেছিল সাড়ে ১৬ লক্ষ টন আলু। তার মধ্যে বের করা গিয়েছে সাড়ে ১৪ লক্ষ টন। বাকি ২ লক্ষ টন আলু বের করার কাজ চলছে। তবে হিমঘর মালিকদের সংগঠনের দাবি, যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সমস্ত হিমঘর খালি করতে বাস্তব কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সময়সীমা অতিক্রম করার পরেও হিমঘরগুলিতে যে পরিমাণ আলু রয়ে গিয়েছে, তা বের করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা। রাজ্যে এমন বহু হিমঘর রয়েছে, যেখানে ৬০-৭০ হাজার প্যাকেট আলু এখনও বের করা সম্ভব হয়নি।

ধনেখালির হিমঘর মালিক সন্দীপ পাল বলেন, ‘‘আমার হিমঘরে কিছু পরিমাণ আলু রয়ে গিয়েছে। আমরা বাইরের শেডে সেই আলু বের করছি। তবে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।’’ জেলার আর এক হিমঘর মালিক শুভজিৎ সাহা বলেন, ‘‘হিমঘর থেকে আলু বের করার গতি বেড়েছে। তবে কিছু আলু থেকে গিয়েছে। সেগুলিও বের করা হচ্ছে।

কেন বার করা গেল না সব আলু?

হুগলির এক হিমঘর মালিকের বক্তব্য, জেলায় মজুত ওই বিরাট পরিমাণ আলু হিমঘরের বাইরে রাখায় মতো জায়গা (শেড) অনেক হিমঘরেই নেই। হিমঘরগুলিতে মেরেকেটে ৮-১০ হাজার প্যাকেট আলু রাখার শেড রয়েছে। তা ছাড়া হিমঘর থেকে আলু বের করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী বা চাষিরা সেগুলি নিয়ে যাচ্ছেন না। ফলে জায়গা ফাঁকা হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে, এই অবস্থায় কোথায় আলু রাখবেন হিমঘর মালিকেরা। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, খোলা জায়গায় আলু রাখা যাবে না। কারণ, শীত এসে গিয়েছে। হিম পড়ছে। খোলা জায়গায় রাখলে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আলু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিও এখন অন্য কথা বলছেন। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘বাইরে রাখলে আলু নষ্ট হবে। এটা আমরা চাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement