হাওড়ার ডোমজুড় এবং শ্যামপুর এলাকার কয়েকটি বেহাল রাস্তা সারানো নিয়ে জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে কাজিয়া বেঁধে গেল সোমবার। এ দিন উন্নয়ন নিয়ে জেলা পরিষদের ত্রৈমাসিক বৈঠক হয়। বর্ষার আগে ওই দুই এলাকায় কোন রাস্তা আগে সারানো হবে, তা নিয়েই দলীয় সদস্যদের মধ্যে বিবাদ বাধে বলে তৃণমূলের এক নেতা জানান।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শলপ ১ পঞ্চায়েত এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য দীপালি পণ্ডিত দাবি করেন, তাঁর এলাকার কাটলিয়া থেকে গয়েশপুর অবধি ৬ কিমির বেশি রাস্তার অবস্থা বেহাল। সারানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। অথচ, কয়েকটি কম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সারানোর জন্য অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। শ্যামপুরের কয়েকটি রাস্তার অবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল। প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হলেও রাস্তা তৈরি এবং সংস্কার শুরু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতিও ছিলেন। তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘গোলমাল তেমন কিছু হয়নি। জেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৮০টি নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হবে। প্রায় ৬০টি স্কুলভবন সংস্কার হবে। গ্রামে গ্রামে নতুন টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে।’’