রানিঘাট থেকে ফেরি চালাবে চন্দননগর পুরসভা

ইজারাদারের বরাতের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তাই চন্দননগরের রানিঘাট এবং উল্টো দিকের উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল ঘাটের মধ্যে ফেরি পরিষেবার দায়িত্ব এ বার সরাসরি নিজেদের হাতে নিতে চলেছে চন্দননগর পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৯
Share:

ব্যস্ত: রানিঘাটে যাত্রী পারাপার। নিজস্ব চিত্র

ইজারাদারের বরাতের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তাই চন্দননগরের রানিঘাট এবং উল্টো দিকের উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল ঘাটের মধ্যে ফেরি পরিষেবার দায়িত্ব এ বার সরাসরি নিজেদের হাতে নিতে চলেছে চন্দননগর পুরসভা।

Advertisement

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুরসভার পক্ষ থেকে ইজারাদার মধু ঘোষকে চিঠি দিয়ে ১২ দিনের মধ্যে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন ইজারাদারের অধীনস্থ ৩২ জন (৯ জন স্থায়ী এবং ২৩ জন অস্থায়ী) ঘাটকর্মী। মধুবাবুর অভিযোগ, ‘‘ঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য পুরসভা এ বার ইচ্ছে করেই টেন্ডার ডাকেনি। পুরসভা সরাসরি যাত্রী পারাপারের বিষয়টি নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে আমাদের সমস্যার মুখে ঠেলে দিল। অথচ, আমরা ২৫ বছর ধরে একটানা এই কাজ করেছি।’’ এর পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহে পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়াকেও দায়ী করেছেন মধুবাবু।

অভিযোগ মানেননি চন্দননগরের পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘‘ইজারাদারের বরাতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরিবহণ দফতরের নির্দেশ মতোই রানিঘাটের দায়িত্ব পুরসভা নিয়েছে। সেই কারণেই টেন্ডার ডাকা হয়নি। ইজারাদারকে ঘাট ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরকর্মীরাই যাত্রী পারাপারের বিষয়টি দেখভাল করবেন। তবে, ইজারাদারের ঘাটকর্মীদের নতুন করে কাজে লাগানো হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

রানিঘাট এবং জগদ্দল ঘাটের মধ্যে প্রায় ৭০ বছর ধরে ফেরি পরিষেবা চালু রয়েছে। আগে অস্থায়ী জেটি থাকলেও ২০১১ সালের জানুয়ারিতে রানিঘাটে স্থায়ী জেটি চালু হয়। বর্তমানে সারাদিন তিনটি লঞ্চ যাত্রী পরিষেবায় যুক্ত রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী দুই ঘাট দিয়ে পারাপার করেন। দু’টি ঘাট দিয়েই যাত্রী পরিষেবার দায়িত্ব চন্দননগর পুরসভার। তবে, এতদিন টেন্ডার ডেকে ঘাট ইজারা দেওয়া হতো। ২০১৭ সালের ৩১ অগস্ট বর্তমান ইজারাদার মধুবাবুর বরাতের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু যাত্রী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না-হয়, সে জন্য অস্থায়ী ভাবে মাসিক ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে পুরনো ইজারাদারের হাতেই ঘাটের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement