চন্দননগরে এ বার অনলাইনে পুজোর অনুমতি

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘পুজোর অনুমতি দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার কথা ভাবা হচ্ছিল। সেই জন্যই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে নির্ঝঞ্জাটে গোটা বিষয়টি করা যাবে।’’ কমিশনারেটের আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থায় অনুমতির প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়েছিল। কিন্তু তাতেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছিল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৪
Share:

দুর্গাপুজোর অনুমতি দিতে গত বছর ‘এক জানলা’ (সিঙ্গল উইন্ডো) পদ্ধতি চালু করেছিল চন্দননগর কমিশনারেট। এ বার এক ধাপ এগিয়ে অনলাইনে ওই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এখানে। অর্থাৎ, বাড়িতে বসে মাউস ক্লিক করেই মিলবে পুজোর অনুমতি।

Advertisement

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘পুজোর অনুমতি দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার কথা ভাবা হচ্ছিল। সেই জন্যই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে নির্ঝঞ্জাটে গোটা বিষয়টি করা যাবে।’’ কমিশনারেটের আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থায় অনুমতির প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়েছিল। কিন্তু তাতেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছিল।

আগামীকাল, শুক্রবার থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (www.Chandannagar.pujapermission.com) ফর্ম ভর্তি করে আবেদন জানানো যাবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই কাজ করতে হবে। কমিশনারেট এলাকায় প্রায় ন’শো বারোয়ারি দুর্গাপুজো রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার শ্রীরামপুর রবীন্দ্রভবনে বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। সেখানে পুলিশ-সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পুজো কমিটির সদস্যদের সামনে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় বিষয়টি অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। সময়ও বাঁচবে।

কী করতে হবে?

কমিশনারেট সূত্রের খবর, ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে সংশ্লিষ্ট কমিটির মোবাইল এবং ই’মেল আইডি রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এর পরে ওয়েবসাইটের ‘আসান’ পেজ খুলে একে একে পুরসভা, দমকল, বিদ্যুৎ দফতর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কমিশনারেটের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। পুজো মণ্ডপে কত ভিড় হতে পারে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে কি না, কেনও ‘সেলিব্রিটি’ আসছেন কি না, বিসর্জনের শোভাযাত্রা হবে কি না, হলে কোন পথে হবে— সব তথ্যই জানাতে হবে। অন্যান্য দফতরের ছাড়পত্র দেখে চূড়ান্ত অনুমতি দেবে কমিশনারেট। অনুমতিপত্র ডাউনলোড করা যাবে। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরনো তালিকা অনুযায়ী পুজো কমিটিগুলির নাম আগে থেকেই ওয়েবসাইটে তুলে রাখা হচ্ছে।’’

তবে গোটা বিষয়টি অনলাইনে হলেও বিদ্যুৎ খরচের নির্ধারিত টাকা ওই দফতরে জমা দিতে হবে। কেন? প্রশাসন সূত্রের খবর, অনলাইনে টাকা জমার ব্যবস্থা করা যায়নি। পরের বার থেকে অনলাইনেই ওই টাকা জমার ব্যবস্থা করা হবে। দমকলের ছাড়পত্রের জন্য যে টাকা লাগত, এ বার রাজ্য সরকার তা মকুব করেছে।

প্রথম বার অনলাইন ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে কেউ সমস্যায় পড়লে কি হবে? কমিশনারেটের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই বিষয়টি ভেবে ১৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থাও রাখা হবে। চুঁচুড়া, চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বরের ক্ষেত্রে চন্দননগরে এবং উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর ও ডানকুনির ক্ষেত্রে শ্রীরামপুরে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থার জন্য শিবির খোলা হবে। বিভিন্ন দফতরের কর্মী বা আধিকারিকরা সেখানে থাকবেন। ইন্টারনেটে সমস্যা হলে সেখানেই গত বছরের মতো আবেদন করা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement