জবরদখল উচ্ছেদ নির্বিঘ্নেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
লিলুয়া রেল কলোনি থেকে জবরদখলকারীদের সরিয়ে দিলেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে এই উচ্ছেদ অভিযানে অবশ্য কোনও বাধা-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি রেলকর্মীদের। তবে গোলমাল হতে পারে এই আশঙ্কায় গোটা রেল কলোনি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল রেলরক্ষী বাহিনী। কলোনির ভিতরে সাধারণ মানুষের যাতায়াতও ছিল নিয়ন্ত্রিত। জবরদখলকারীদের পুনর্বাসনের দাবিতে মঙ্গলবার বালি কেন্দ্র তৃণমূলের সভাপতি তপজিল আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ-মিছিল করেছিলেন। কিন্তু এ দিন সকালে উচ্ছেদের সময়ে তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন জবরদখলকারীরা। তবে আন্দোলনকারী এক নেতা প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, “পরিচয়পত্র ছাড়া সংরক্ষিত এলাকার ভিতরে জোর করে ঢুকলে আইন ভঙ্গ হত। তবে আজ পরিত্যক্ত বাড়িগুলি ভাঙা হয়েছে বলে শুনেছি। কিছু মানুষ ভয়ে চলে গিয়েছেন। অন্য নেতারা এলাকাতেই ছিলেন।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “কোনওরকম গোলমাল ছাড়াই প্রায় ৮০ শতাংশ জবরদখল বাড়ি এবং অন্যান্য নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার বাকি জবরদখল সরানো হবে।”
মোবাইলের টাওয়ার সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর
বাড়ির ছাদে বসানো মোবাইলের টাওয়ার সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার শ্রীরামপুরের ঘটনা। দূষণের অভিযোগ তুলে শহরের মল্লিকপাড়ায় বেসরকারি মোবাইল সংস্থার ওই টাওয়ারে সংযোগ স্থাপন করা আটকে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ জন। ওই কাজে সংস্থাটি আপাতত হাত গুটিয়ে নিলেও সরানো হয়নি টাওয়ারটি। অভিযোগ, সেটি বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রবল ঝড় হলে সেটি আদৌ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রশাসনের দরজায় ছোটাছুটি করছেন এলাকার লোকজন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কারও হেলদোল নেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে বেল্টিং বাজারের কাছে একটি বাড়ির ছাদে টাওয়ারটি বসানো হয়। এলাকায় এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে দাবি করে বাসিন্দারা তাতে আপত্তি জানান। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরেও আবেদন জানানো হয় তাঁদের তরফে। স্থানীয় পুরসভা থেকে থানা-পুলিশ কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে চলে যায় ওই সংস্থা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংযোগ স্থাপন না হলেও টাওয়ারটি বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বারে বারেই পুলিশ-প্রশাসন এবং পুরসভার গোচরে এনেছেন তাঁরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফল হয়নি। সমীর বিশ্বাস, পার্থপ্রতিম দাস, অরুণকুমার বিশ্বাসদের অভিযোগ, ‘‘টাওয়ারটি ঝড়ে ভেঙে পড়তে পারে।’’ পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল উত্তম রায় বলেন, ‘‘টাওয়ারটি সরিয়ে নিতে ওই সংস্থাকে এবং প্রশাসনের কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। টাওয়ার খোলার পরিকাঠামো আমাদের নেই।’’
ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
এক কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘুসুড়ির রামচরণ নস্কর লেনের ঘটনা। কিশোরীর অভিযোগ, শুধু ধর্ষণই নয়, ওই ছবি মোবাইলে তুলে ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা চেয়ে ক্রমাগত হুমকিও দিয়েছে ওই যুবক। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাজীব দাস নামে ওই যুবক গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাজীব ও ওই কিশোরী একই পাড়ার বাসিন্দা হওয়ায় পূর্বপরিচিত। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হয় এবং ওই কিশোরী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয়। হাওড়ার কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীবকে ধরা হয়। অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত না হওয়ায় স্কুলে বিক্ষোভ
বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল পড়ুয়ারাও।—নিজস্ব চিত্র।
প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত না হওয়ায় স্কুলের গেটে তালা দিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। বুধবার সকালে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস জুটমিলের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। ওই স্কুলে কে জি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১০০। শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩০ জন। পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রের খবর, আগামী শিক্ষা বর্ষে অষ্টম শ্রেণি এবং পরের দু’বছরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার অবশ্য তাঁরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, আগামী শিক্ষাবর্ষে ওই ব্যবস্থা চালু করা যাবে না। অভিভাবকেরা এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় বিক্ষোভ। সকাল ৮টা থেকে স্কুলের সামনে চুঁচুড়া-ত্রিবেণী রোড অবরোধ করা হয়। মগরা থানার ওসি সুখময় চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। বেলা ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্ত। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, নতুন শ্রেণিতে ভর্তির সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানোর আশ্বাস দিয়ে উন্নয়ন খাতে বেশি টাকা নিয়েছিলেন। এই মূহূর্তে ৫৫ জন ছাত্রছাত্রী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। নতুন স্কুলে ভর্তি হতে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। সুখদেব দেবনাথ নামা এক অভিভাবক বলেন, “বছরের শেষে এতগুলো পড়ুয়াকে বিপাকে ফেলা হচ্ছে।” স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল বীতশ্রী মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
দলের সভায় মারধর, ধৃত তৃণমূল কর্মী
তৃণমূলের সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মারধরে কয়েক জন জখম হন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ১ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হুগলির খানাকুলের চিংড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম গনেশ মাইতি। বাকি ১০ জন অভিযুক্ত পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ গ্রামের তৃণমূল নেতা অষ্ট অধিকারীর নেতৃত্বে স্থানীয় কুমারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সভা হচ্ছিল। অভিযোগ, অন্য গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত বিভাস মালিকের ছেলেরা সভায় উপস্থিত লোকজনকে বিজেপির লোক দাবি করে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে। প্রহৃত ৫ জনকে নতিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভাস অবশ্য অভিযোগ মানেননি।
অনুষ্ঠানের জায়গা নিয়ে ক্ষোভ
জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ পালন অনুষ্ঠানের জায়গা বাছাই নিয়ে পুরশুড়ায় প্রকাশ্যে এল শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লকের মূল অনুষ্ঠানটি ডিহিবাতপুর পঞ্চায়েতের পঞ্চাননতলায় হবে বলে পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিহিবাতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা ঢালির অভিযোগ, “পঞ্চায়েতকে গুরুত্ব না দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওখানে আমাদের দলের জনপ্রতিনিধি নেই। পঞ্চায়েতের দলীয় সদস্যদের হেয় করতে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পঞ্চায়েত ওই অনুষ্ঠানের দায়ভার নেবে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নানা দফতরে জানিয়েছি।”
ট্রেনের ধাক্কায় মহিলার মৃত্যু
লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন শাখার বৈদ্যবাটি স্টেশনের কাছে। রেল পুলিশ জানায়, মঞ্জুদেবী দাস (৩২) নামে ওই মহিলার বাড়ি চাঁপদানীর বিএম রোডে। তিনি ভদ্রেশ্বরে কারখানায় কাজ করতেন। এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ তিনি লাইন টপকে বৈদ্যবাটি স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মে উঠতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ডাউন মেমারি-হাওড়া লোকালে তিনি কাটা পড়েন।
বকেয়া চেয়ে ধর্না
বুধবার দুপুরে হুগলির তিনটি ব্লকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের খেতমজুর সমিতি। পাণ্ডুয়া, ধনেখালি এবং বলাগড় ব্লকে বিডিও অফিসের সামনে ওই বিক্ষোভ দেখানো হয়।
শীতের সব্জি বাজারের পথে। বাগনানে।