হুগলিতে স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় সুবিধা বৃদ্ধি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা প্রকল্পের সুবিধা এ বার আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবার এবং ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের শ্রমিক পরিবারের সদস্যেরাই এত দিন এই বিমার নানা রকম সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। এ বার আরও ১২ রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ওই বিমা যোজনার আওতায় আনা হচ্ছে। এই আর্থিক বছরেই সেই অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে হুগলি জেলাশাসকের দফতর থেকে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে হুগলির ব্লকগুলিতে। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা প্রকল্পের এই জেলার নোডাল অফিসার সুতীর্থ দাস এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিপিএল তালিকা-ভুক্ত এবং কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের শ্রমিকেরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে অটোচালক, ট্যাক্সি চালক-সহ আরও ১২টি ক্ষেত্রের কর্মীদের।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পটির সূচনা ২০০৮ সালে। প্রকল্পে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১২টি ক্ষেত্রের এখনও পূর্ণাঙ্গ তালিকা মেলেনি কেন্দ্রীয় শ্রম ও নিযুক্তি দফতর থেকে। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পটির উপভোক্তাদের বাত্সরিক প্রিমিয়ামের ৭৫০ টাকার মধ্যে ৭৫ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকিটা গেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। উপভোক্তা পরিবারটিকে প্রকল্পে নথিভুক্তিকরণ এবং স্মার্টকার্ড নবীকরণের জন্য দিতে হয় বছরে মাত্র ৩০ টাকা। এর উপভোক্তারা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পান। এ বার থেকে তাঁরা সরকার নির্দিষ্ট চিকিত্সা-কেন্দ্রে চিকিত্সা সংক্রান্ত যাতায়াত খরচ বাবদ প্রতিবার ১০০ টাকা করে পাবেন। সর্বাধিক এক হাজার টাকা অবধি পাওয়া যাবে। মোট ৭৮০ ধরনের অসুখকে বিমার আওতায় আনা হয়েছে।
স্কুল মাদ্রাসায় জল সমস্যার সমাধানে শৌচালয়ে বসানো হচ্ছে সাব-মার্সিবল
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাওড়া
ঝাঁ-চকচকে শৌচালয়। কিন্তু জলের ব্যবস্থা নেই। ফলে, তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কোথাও আবার শৌচালয় রয়েছে। জলও রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থা অপ্রতুল। এই পরিস্থিতি হাওড়ার বিভিন্ন স্কুল, সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা, হাই মাদ্রাসা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ফলে, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেশ অসুবিধায় পড়ছেন। ওই সব শৌচালয় তৈরি হয় ‘নির্মল ভারত অভিযান’ প্রকল্পের টাকায়। কিন্তু জলের সরবরাহ না থাকায় বহু শৌচালয় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই অব্যবস্থা দূর করতে সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়ে শৌচালয়ে জলের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল জেলা পরিষদ। বুধবার হাওড়া জেলা পরিষদে উন্নয়ন সংক্রান্ত যে বৈঠক হয়, তাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ সমিতিগুলিকে বলা হয়েছে কোন কোন স্কুল, হাই-মাদ্রাসা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শৌচাগারে জলের ব্যবস্থা নেই তার তালিকা তৈরি করতে। সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর জন্যও টাকা আসবে নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্প থেকে। আগামী ৩০ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে পরবর্তী বৈঠক ডাকা হয়েছে।” জেলায় বেশ কিছু স্কুলে ইতিমধ্যেই সাব-মার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। তবে, তা বসিয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বা রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থা। তাতে স্কুলগুলিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রয়েছে। পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল জলিল বলেন, ‘‘এই ব্লকে প্রচুর স্কুল এবং হাই-মাদ্রাসার শৌচাগারে জলের ব্যবস্থা নেই। আমরা দ্রুত তালিকা তৈরি করে জেলা পরিষদে পাঠাচ্ছি।”
একশো দিনের কাজে জোর হাওড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
‘পিছিয়ে পড়া’ হিসেবে চিহ্নিত করে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তিনটি ব্লকে জোর দেওয়া হল হাওড়া জেলায়। ব্লকগুলি হল আমতা-২, শ্যামপুর-২ উলুবেড়িয়া-২। কেন্দ্রে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসা পরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, দেশের সব ব্লকে সমান ভাবে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করার প্রয়োজন নেই। একমাত্র পিছিয়ে পড়া ব্লকগুলিতে ‘জনগণের অংশগ্রহণ ভিত্তিক নিবিড় পরিকল্পনা’য় (ইন্টেন্সিভ পার্টিসিপেটরি প্ল্যানিং এক্সারসাইজ বা আইপিপিই) বেশি করে কাজ করতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত মতোই ওই তিনটি ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। অন্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও কেন্দ্র নির্দেশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, এখানকার মোট ১২৪টি ব্লককে ‘পিছিয়ে পড়া’ হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। কোন কোন ব্লককে সেই তালিকায় আনা হবে, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকেই। হাওড়ায় মোট ব্লকের সংখ্যা ১৪। ১০০ দিনের প্রকল্পে তা হলে বাকি ব্লকগুলির কী হবে? রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, “২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে ১২৪টি ব্লকে কাজ হওয়ার কথা। সেই সময়েই বোঝা যাবে বাকি ব্লকগুলি নিয়ে কেন্দ্রের নীতি ঠিক কী হবে।”
সেবা প্রকল্পের বার্ষিক ক্যাম্প
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে জাতীয় সেবা প্রকল্পের অধীন চারটি ইউনিটের উদ্যোগে বিশেষ বার্ষিক ক্যাম্প শুরু হয়েছে গত রবিবার থেকে। যোগ, ধ্যান, শারীরিক কসরত্, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ওই ক্যাম্পে। চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার দে। বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান গবেষক জীবন পাল, কৃষি বিশেষজ্ঞ হরষিত মজুমদার, অধ্যাপক উদয় নন্দী, কামারপুকুর মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দ প্রমুখ।
বই প্রকাশ, মঞ্চে নাটক
সম্প্রতি উলুবেড়িয়া রবীন্দ্র ভবনে প্রকাশিত হল পত্রিকা ‘পালা নাট্যপত্র’। এই উপলক্ষে দু’দিন ধরে এর আয়োজন করে পত্রিকা গোষ্ঠী। পত্রিকাটি ২৭ বছরে পড়ল। পত্রিকায় রয়েছে নাটক সংক্রান্ত লেখা, পূর্ণাঙ্গ নাটক, লোক-সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ। লিখেছেন বিভাস চক্রবর্তী, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নাট্য ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়াও লিখেছেন তপন কর, শ্যামল মিত্র, অবন্তী রায়ের মতো সাংস্কৃতিক কর্মী এবং লোক-সংস্কৃতির গবেষকেরা। নাটক লিখেছেন চন্দন সেন, নিরূপ মিত্র, অনুপ চক্রবর্তী প্রমুখ। পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন বিভাসবাবু। শান্তনু সাহা পরিচালিত ‘উড়াইল বনের নির্জনে’ নামে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। যাতে বিভাসবাবুর সঙ্গে নাটকের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। বিভাসবাবু পরিচালিত ‘ছোট ছোট বাড়ি’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেন অন্য থিয়েটার-গোষ্ঠী। অভিনীত হয় ‘নিঃসঙ্গ মুসাফির’ নাটক। যা রচনা করেন পত্রিকা সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। পরিচালক অনুপ চক্রবর্তী। নাট্য অ্যাকাডেমির সহায়তায় নটী বিনোদিনীকে নিয়ে ৩৭টি ছবির প্রদর্শনী হয়।
রজত জয়ন্তী বর্ষে অনুষ্ঠান
রিষড়ায় মীরা স্মৃতি শিশু অঙ্কন শিক্ষাকেন্দ্রের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে এ অক্টোবরের ৩১ তারিখ থেকে নানা অনুষ্ঠান হতে চলেছে। অনুষ্ঠানের ‘থিম সং’ তৈরি হয়েছে। চালু করা হচ্ছে ওয়েবসাইট। পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা রাজনীতি, ক্রীড়া বা সাহিত্য জগতের কারও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, ক্রীড়া ও সিনেমা জগতের বিশিষ্টজনেরা। ১ নভেম্বর স্কুলভিত্তিক আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী অংশ নেবে। পর দিন আয়োজিত হবে মোমের কাজ, বাটিক ও বাঁধনির উপর বিশেষ কর্মশালা। পুতুল নাচ, সাঁওতালি নৃত্য, ছৌ-নাচ-সহ। শেষ দিন প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের নানা সরঞ্জাম দেওয়া হবে। স্কুলের উপর তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এ ছাড়াও শনিবার সন্ধ্যায় উত্তরপাড়ার গণভবনে নৃত্য সংস্থা ‘উপাসনা’র চতুর্থ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।
হাঁস-ছানা বিলি
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য আরামবাগ ব্লকে হাঁসের ছানা বিলি করা হল। বুধ এবং বৃহস্পতি দু’দিন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে ১৫টি পঞ্চায়েতের ৬৯০ জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যকে ১০টি করে হাঁস ছানা দেওয়া হয়। ব্লক প্রাণিসম্পদ আধিকারিক নরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু এই প্রসঙ্গে বলেন, “যে প্রজাতির হাঁস (খাকি ক্যাম্বেল) পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে, সঠিক প্রশিক্ষণ থাকলে তা লাভজনক।”