এই বাড়ির চারতলার ছাদ থেকে পড়ে যায় অক্ষয়। নিজস্ব চিত্র
তারের জটে আটকে প্রাণ বাঁচল এক বালকের। পোষ্যের তাড়া খেয়ে আত্মীয়ের চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়েছিল ন’বছরের এক বালক। সে আটকে যায় রাস্তায় ঝুলতে থাকা কেব্ল লাইনের তারে। তার পরে মাটিতে পড়ে যায় সে। আর তাতেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছে অক্ষয় দত্ত নামে ওই বালক। তবে তীব্র আতঙ্কে সে এখন প্রায় শয্যাশায়ী।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের শালিমার এলাকার রামকুমার গাঙ্গুলি লেনে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা ওই বালক তার মায়ের সঙ্গে শালিমারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওই দিনই এসে পৌঁছয়। রাতে মা ও অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে চারতলার ছাদে ছিল অক্ষয়। সকলে যখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় ব্যস্ত ছিলেন। তখন ওই বাড়ির পোষা কুকুরটির সঙ্গে খেলছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুকুরটি হঠাৎই তাড়া করে অক্ষয়কে। কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে সে ভয়ে ছাদের পাঁচিল টপকে নীচে লাফ দেয়।
ভারী কিছু পড়ার শব্দ হতে বহুতলের অন্য আবাসিকরা বেরিয়ে আসেন। অক্ষয়ের মা এবং আত্মীয়েরাও উপর থেকে দ্রুত নেমে আসেন। দেখা যায়, অক্ষয় আবাসনের গেটের সামনে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার পাশে ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে মোটা মোটা কেব্ল। এর পরে দ্রুত তাকে আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করে অক্ষয়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অক্ষয়ের শরীরে বড় কোনও আঘাত লাগেনি।
শনিবার সকালে রামকুমার গাঙ্গুলি লেনে ওই আবাসনের গিয়ে দেখা যায়, জ্বরের ঘোরে শুয়ে রয়েছে শিশুটি। ঘটনা প্রসঙ্গে শিশুটির এক আত্মীয়া নন্দিনী গুপ্ত বলেন, “আজ সকালেই মায়ের সঙ্গে ওর ব্যান্ডেলে আর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই শুক্রবার বিকেলে অসম থেকে মায়ের সঙ্গে শিবপুরে আসে অক্ষয়। ওই ঘটনার পর আপাতত ভগবানের দয়ায় ও সুস্থই আছে।”