•দাগ: তৃণমূল কর্মীর বাড়ি। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ফের বোমা পড়ল হুগলির শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিখিল নন্দীর বাড়িতে। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে বোমা ছোড়ে। ওই রাতে কাছেই মন্টু পান নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেও বোমাবাজি হয়। এর জেরে উত্তরপাড়ার নবগ্রাম ও কানাইপুরে তৃণমূল শিবির সরগরম। কেউ কেউ মনে করছেন দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে এই বোমাবাজি হয়েছে।
যদিও উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কিছু দিন ধরেই কিছু দুষ্কৃতী সমাজবিরোধীমূলক কাজ করছে। পুলিশকে বলেছি দল না দেখে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর মোকাবিলা করব।’’ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতুল ভি জানান, দু’টি ঘটনায় পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। কী কারণে ওই ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথম হামলাটি হয়েছে মন্টুবাবুর বাড়িতে। ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী মন্টুবাবুর বাড়ি নবগ্রাম সি ব্লকে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দু’টি মোটরবাইকে ছ’জন দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয়। তাদের ছোড়া বোমায় জানলা ভেঙে যায়। জোর শব্দে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পৌঁছয় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশ থেকে একটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। মন্টুবাবু বলেন, ‘‘কেন আমার বাড়িতে বোমাবাজি হল, বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে কারও রেষারেষি নেই।’’
এই ঘটনার অভিযোগ হতে না হতেই রাত ১২টা নাগাদ রিষড়ার বারুজীবী এলাকায় ব্লক সভাপতি নিখিলবাবুর বাড়িতে বোমাবাজি হয়। বোমার আঘাতে দেওয়ালে চিড় ধরে। বাড়ির একটি অংশ ভেঙে পড়ে। মাস দেড়েক আগেও নিখিলবাবুর বাড়িতে বোমা পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘কেন বার বার এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি। সিপিএম বা বিজেপি এটা করছে বলে আমার সন্দেহ।’’
জেলা বিজেপি সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, ‘‘হাস্যকর অভিযোগ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল। নিজেরা মারামারি করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।’’