প্রতীকী ছবি।
কারও বাড়ি কানাইপুরে। কেউ তারকেশ্বর বা গোঘাটের বাসিন্দা। কিন্তু এখন আস্তানা গেড়েছেন অন্যত্র!
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই হুগলির কিছু এলাকায় ঠাঁই বদলেছেন সিপিএম প্রার্থীরা। কোনও রকম চাপে যাতে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে না-হয়, তার জন্য হুগলির কিছু এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের ‘নিরাপদ ঠিকানা’য় সরিয়ে রেখেছে সিপিএম। এই কৌশলে সাফল্যও মিলেছে বলে জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি।
মনোনয়ন পর্বে বারবার শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, হুমকির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের কথা ভেবে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন বলে বিরোধী প্রার্থীদের দাবি। শাসকদল অবশ্য প্রথম থেকেই সন্ত্রাস বা হুমকির অভিযোগ মানেনি। শনিবার, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল সিপিএম। বিশেষ করে কোন্নগরের কানাইপুর, গোঘাট, বলাগড়, পান্ডুয়া বা পুরশুড়ার কিছু পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থীরা শাসকদলের ‘নীরব সন্ত্রাস’-এর মুখে পড়ছিলেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ।
তাঁদের দাবি, অন্য এলাকা থেকে তৃণমূলের ছেলেরা মোটরবাইকে করে ওই সব প্রার্থীর বাড়ির সামনে গিয়ে আড্ডা জমাচ্ছিলেন।
প্রার্থী বাড়ি থেকে বেরোলেই চাপা স্বরে শাসানি চলছিল। যাতে তিনি ভয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ সব কথা জানার পরেই প্রশাসনের উপরে ভরসা না-করে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের হাল তো দেখাই যাচ্ছে। উল্টে থানায় গেলে আমাদের প্রার্থীদের শাসকদলের আরও রোষের মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই জেলার যেখানে সমস্যা হচ্ছে, স্থানীয় নেতৃত্বকে বলা হয়েছে প্রার্থীদের সরিয়ে দিতে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আমরা কোথাও চাপ দিইনি। কোথাও সন্ত্রাস হয়নি। ওরা নিজেরাই প্রার্থী নিয়ে জেরবার। জেলায় বহু আসনে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতছি।’’