অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পিঁপড়ের ঢিপি

কয়েকটা বাঁশের খুঁটির উপর টালির চালের ছাউনি। বাঁশের দরমা দিয়ে ঘেরা এক চিলতে ঘর। মেঝের মাটি ফুটো হয়ে জেগে উঠেছে পিঁপড়ের ঢিপি। তার উপরেই মাদুর পেতে চলছে পড়াশোনা।

Advertisement

তাপস ঘোষ

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০৮:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংস্কার হয়নি অনেক দিন। আশপাশে ঘুরছে সাপ ও জোঁক। আতঙ্কে আসতেই চাইছে না খুদে পড়ুয়ারা।

Advertisement

কয়েকটা বাঁশের খুঁটির উপর টালির চালের ছাউনি। বাঁশের দরমা দিয়ে ঘেরা এক চিলতে ঘর। মেঝের মাটি ফুটো হয়ে জেগে উঠেছে পিঁপড়ের ঢিপি। তার উপরেই মাদুর পেতে চলছে পড়াশোনা। চুঁচুড়ার কোদালিয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সিংহীবাগান নতুনপাড়া এলাকায় ২৪২ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা এমনই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১১ সালে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। কিন্তু নূন্যতম পরিকাঠামোর অভাবে সেখানে পড়ুয়াদের পাঠাতে চাইছেন না তাঁদের অভিভাবকেরা। সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাঁশের দরমার নীচের অংশ ক্ষয়ে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সামনের রাস্তায় থকথকে কাদা জমে যায়। এই সবের মধ্যেই চলছে পঠনপাঠন ও খাওয়া। পঠনপাঠন বাদে বাকি সময়ে ওই জায়গাটি হল কুকুর এবং ছাগলের নিরাপদ আশ্রয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার দরিদ্র মানুষের ভরসা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির সংস্কারের জন্য প্রশাসনের নানা জায়গায় দরবার করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

অভিভাবকদের পক্ষে আরতি করের দাবি, ‘‘দরমা ভেঙে যেকোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বাচ্চাকে পাঠাতে ভয় লাগে।’’ ওই কেন্দ্রটির কর্মী নীলিমা সরকারের আক্ষেপ, বর্ষার দিনে কাজ করা খুবই সমস্যায়। তাই অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের পাঠাতেই চাইছেন না।

হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রটির বিষয়ে জানা নেই।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement