প্রেমিকার আবদার মেটাতে আইসক্রিম কিনতে গিয়েছিলেন প্রেমিক। ফিরে এসে দেখলেন তাঁর ব্যাগ সহ ল্যাপটপ এবং দামি মোবাইল ফোন নিয়ে উধাও প্রেমিকা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় প্রেমিক। অভিযোগ পেয়ে আরামবাগ শিশু উদ্যানের ওই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার ২৫ দিন পরে সোমবার ওই প্রেমিকা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার হলেও মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম পল্লবী ওরফে নিশা দাস এবং শেখ রাজা বাদশা। বাড়ি আরামবাগেরই সাঁপরাজোল গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে পরিকল্পনামতই প্রেমের অভিনয় করে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ওই প্রেমিকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক ধরে ‘ফেসবুক’-এর মাধ্যমে পরিচয় থেকে প্রেম হয় বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানার রামনগর গ্রামের বছর কুড়ির যুবক বরুণকুমার শিটের সঙ্গে নিশা দাস নামে ওই যুবতীর। নিশা বরুণকে বলেছিল তার বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। একাধিকবার তারা দু’জনে বিষ্ণুপুরে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় এবং হোটেলে খাওয়া-থাকা এবং ঘোরাঘুরিও করেছে। গত ১৪ অগস্ট সকালে নিশা বরুণকে ফোন করে বিকালে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। সেইসঙ্গে জানায় বরুণ যেন ল্যাপটপ এবং সিনেমা ডাউনলোড করার জন্য পেনড্রাইভ নিয়ে আসে।
সেইমতো বরুণ ওই সন্ধ্যায় আরামবাগ শিশু উদ্যানে নিজের মোটর বাইকে হাজির হন। শিশু উদ্যানে দু’জনে প্রেমালাপ এবং সিনেমা দেখতে শুরু করে ল্যাপটপে। রাত ৮টা নাগাদ ওই যুবতী আইসক্রিম খেতে চায়। বরুণ তখন কাছেই পি সি সেন রোডের দোকান থেকে আইসক্রিম আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন ল্যাপটপ-সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে ‘প্রেমিকা’ উধাও।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে বিষ্ণুপরেই একটি অ্যালুমিনিয়মের দোকানে কাজ করা শেখ রাজা বাদশাকে মাস ছয়েক আগে বিয়ে করে নিশা। ঘটনার দিন পরিকল্পনামতই শেখ রাজা বাদশা মোটর সাইকেল নিয়ে শিশু উদ্যানের পাশে অপেক্ষা করছিল। বরুণ আইসক্রিম কিনতে গেলে সেই ফাঁকে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন নিয়ে বাইকে চম্পট দেয় নিশা ও শেখ রাজা।