মাত্র ৪০ টাকা নিয়ে অশান্তি। আর তারই জন্য এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার জগৎপুরের জোড়া কলতলায়। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুরিয়া বেগম (৩০) নামে ওই বধূর দুই ভাসুরকে ধরেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তেরো আগে নিমদিঘির বাসিন্দা সুরিয়ার বিয়ে হয় জগৎপুরের জোড়া কলতলার বাসিন্দা সাইদুল মোল্লার সঙ্গে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন সুরিয়া। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে বাপের বাড়িতে খবর দেন। বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করান। সেদিনই তাঁরা উলুবেড়িয়া থানায় সুরিয়ার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে মারা যান সুরিয়া।
এ দিন সুরিয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বাপের বাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ করা হয়। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, খুনের অভিযোগটি এই মামলার সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
সুরিয়ার এক দাদা লুৎফর রহমান বলেন, ‘‘এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম। সব টাকা আমার ভগ্নীপতির দাদা নিয়ে নেয়। তা নিয়েই সংসারে অশান্তি ছিল। বোনের ছেলে হওয়ার পরেও অশান্তি কমেনি।’’ তাঁর অভিযোগ, টাকার জন্য প্রায়ই বোনকে দিয়ে চাপ দিত সইদুল। সে অটোরিকশা চালালেও সংসারে কোনও টাকা দিত না। লুৎফরের কথায়, ‘‘হাসপাতালে আমাদের কাছে বোন বলেছে, ২৪ জানুয়ারি মাত্র ৪০ টাকা তার হাতে দিয়েছিল সাইদুল। বোন তাকে বলে এত কম টাকায় সংসার চলবে কী করে? তারপরেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সাইদুল ও তার ভাইয়েরা।’’
সুরিয়ার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে পুলিশ জানায়।