গাছ কাটায় অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা

বাসিন্দাদের তত্‌পরতায় রুখে দেওয়া গেল গাছ চুরি। রবিবার সকালে খানাকুলের সাইবোনা থেকে রাধাবল্লভপুর পর্য়ন্ত রাস্তার দু’ধারের গাছ কাটা শুরু হয়। খানাকুলের বিধায়কের ইকবাল আহমেদের নাম করে স্থানীয় তিন তৃনমূল নেতার নেতৃত্বে বেআইনিভাবে ওই সব গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৫ ০১:৫০
Share:

বাসিন্দাদের তত্‌পরতায় রুখে দেওয়া গেল গাছ চুরি। রবিবার সকালে খানাকুলের সাইবোনা থেকে রাধাবল্লভপুর পর্য়ন্ত রাস্তার দু’ধারের গাছ কাটা শুরু হয়। খানাকুলের বিধায়কের ইকবাল আহমেদের নাম করে স্থানীয় তিন তৃনমূল নেতার নেতৃত্বে বেআইনিভাবে ওই সব গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খানাকুল ১ ব্লকের পোল ২ পঞ্চায়েতের বাসিন্দার বিষয়টা বিডিও গোবিন্দ হালদারকে জানান। বিডিও পুলিশ পাঠালে গাছচোরেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ৬টি কাটা গাছ আটক করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক ধরে সাইবোনা-রাধাবল্লবপুর রাস্তায় একটি-দুটি করে গাছ কাটা হচ্ছিল। এলাকার মানুষের অভিযোগ, গাছ কাটার তদারকি করছিল তৃণমূল নেতা জামির আলি ওরফে লাল্টু, শেখ আসিফ ইকবাল এবং শেখ আজিজুর রহমান। গাছ কাটা নিয়ে জানতে চাইলে বলা হয়েছিল দুঃস্থ পরিবারের মৃতদেহ দাহ করার জন্য কাটা হচ্ছে। এ দিন সকালে জনা পনেরো লোক গাছ কাটার করাত-কুড়ুল নিয়ে লাইন ধরে গাছ কাটা শুরু করে। তদারকি করছিল ওই তিন নেতা। পনেরোটির মতো গাছ কাটার পর বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যদের জানান। পঞ্চায়েতের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নেতাদের নিরস্ত করতে গেলে তারা পাল্টা হুমকি দেয়। এরপরই ওই তিন পঞ্চায়েত সদস্য বাসিন্দাদের বিষয়টি বিডিওকে ফোন করে জানাতে বলেন। যদিও ওই তিন তৃনমূল নেতার দাবি, গাছ কাটার সঙ্গে তাঁদের কোন যোগ নেই। গাছ কাটা নিয়ে নিজের নাম জড়ানোয় হতবাক বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষ অভিযোগ দায়ের করুন। পুলিশ অপরাধীদের ধরবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement