কৃষি বিপণন দফতরের অধীনে থাকা ‘আমার ধান আমার চাতাল’ এবং ‘আমার ফসল আমার গোলা’ প্রকল্প দু’টির সুবিধা বেশিরভাগ মানুষ পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ ছিলই। তাই ২০১৫ সালে মহাত্মা গাঁধী জাতীয় কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় ঘটাতে উদ্যোগী হন হুগলি জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। তারপরেও প্রকল্পের কাজে গতি আসেনি। তাই এই দুই প্রকল্পের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রকল্প দু’টিকে গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় ঘটানোয় অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ বেড়েছে। প্রকল্পের সুফল মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
‘আমার ফসল আমার গোলা’ প্রকল্পটি মূলত বর্গাদার, পাট্টাদার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য। ফসল তোলার পরে প্রথাগত পদ্ধতির বদলে সেগুলিকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে সংরক্ষণের জন্য শস্যগোলা বানাতে সরকার ভর্তুকি দেবে। গোলা নির্মাণের উপকরণ দেবে কৃষি বিপণন দফতর এবং উপভোক্তা। আর শ্রমের জোগান আসবে গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প থেকে। যেমন ছোট শস্যগোলার ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন দফতর দেবে ৫ হাজার টাকা। গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প থেকে মিলবে ১৯৪৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং উপভোক্তাকে দিতে হবে ৩০৫৬ টাকা ৫০ পয়সা। বড় গোলার ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন দফতর দেবে ১২০০০ টাকা। গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প থেকে দেওয়া হবে ৬৬৭৫ টাকা, উপভোক্তা দেবেন ১৫৯৮৩ টাকা। আর ‘আমার ধান আমার চাতাল’ প্রকল্পের সুবিধাও পাবেন মূলত বর্গাদার, পাট্টাদার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। চাতাল নির্মাণের জন্য কৃষি বিপণন দফতর দেবে ১০০০০ টাকা, গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প থেকে মিলবে ৮৯১৯ টাকা এবং উপভোক্তাকে দিতে হবে ১৭ হাজার ৩১ টাকা। বড় চাতালের ক্ষেত্রে ওই ভাগ যথাক্রমে ২৩ হাজার টাকা, ১০৮৬২ টাকা ৪২ পয়সা এবং ২৮০৮৭ টাকা।