সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ফের হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্যান্ডেলের কাজিডাঙায় শনিবার রাতের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পুরনো সিপিএমের ওই দলীয় অফিসে শনিবার রাতে কে বা কারা হামলা চালায়। দুষ্কৃতীরা অফিসের জানালার কাচ ভেঙে দেয়। কার্যালয়ের ভিতরে মদের বোতল ভেঙে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার সকালে স্থানীয় লোজন কার্যালয়ের সামনে কাচের টুকরো পড়ে থাকতে ও জানলা ভাঙা দেখে সিপিএম নেতৃত্বকে খবর দেন। সিপিএমের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে গত ২৯ মার্চ রাতে একই ভাবে এই কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কর্যালয়ের সামনে শহিদ বেদির ফলক ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেবার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একমাস কাটতে না কাটতেই শনিবার রাতের হামলাতেও তৃণমূল জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৯ মার্চ হামলার পর।
ছবি: তাপস ঘোষ।
সিপিএমের অভিযোগ প্রথমবার এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য হামলা চালানো হয়েছিল। এ বার নির্বাচনের ফল সম্পর্কে হতাশ হয়েই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ সাহা বলেন, ‘‘বিরোধীদের উপর হামলার এক নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। হামলার পর ওই এলাকায় মদের ভাঙা বোতল ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বলতে সুবিধা হয় যে এটা মদ্যপদের কাজ। তবে নির্বাচনের ফল সম্পর্কে এমনিতেই ওরা (তৃণমূল) আতঙ্কে রয়েছে। তার উপর হতাশ হয়েই এই ভাবে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে।’’ ব্যান্ডেল লোকাল কমিটির সম্পাদক মানব চৌধুরী জানান, এ ভাবে হামলা চালিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করা যাবে না। পাল্টা হামলায় তাঁরা বিশ্বাসী নন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই ঘটনার নিন্দা প্রতিবাদ করতে হবে। ভোটের ফলেই মানুষ এর সমুচিত জবাব দেবেন।
চুঁচুড়া-মগরা ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেম, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সদস্য যুক্ত নয়। এ বারের নির্বাচনে জোটের বিরুদ্ধ যারা সোচ্চার হয়েও প্রকাশ্যে কিছু করতে পারছে না, তারাই এইসব হামলার নেপথ্যে থেকে আমাদের দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। তৃণমূল এই ধরনের নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’’