বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার বিধানসভায় বিল পেশ করেছে রাজ্য সরকার। আর সেদিনই রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল আরামবাগের কোর্ট রোডের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। গাফিলতির অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
মৃতের পরিবারের তরফে আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহটি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, “একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে।’’
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন কাবলের বাসিন্দা বিষ্ণুপদ রায় (৫২)। নার্সিংহোমের চিকিৎসক শেখ সুরাবুদ্দিন আহমেদ তাঁকে ভর্তি করে নেন। মৃতের ভাইপো পরিতোষ রায়ের দাবি, কাকার অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও ভর্তির দু’ঘণ্টার মধ্যে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকা হয়নি। সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি দেখেন কাকার বুকে পাম্প করছেন ওই চিকিৎসক। বেলা ১১টা নাগাদ বিষ্ণুপদবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিতোষবাবুর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ চিকিৎসার গাফিলতিতেই আমার কাকার মৃত্যু হয়েছে। কারণ, বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসককে দিয়ে কাকার চিকিৎসা করানো হয়নি।”
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের মালিক বেগম এফ নেশার দাবি, “নিয়মমতোই ওই চিকিৎসক রোগীকে ভর্তি করেছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকাও হয়েছিল। কিন্তু রোগীর ‘সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক’ হওয়ায় সেই সুযোগ মেলেনি। রোগীকে স্থানান্তরিত করা আগে যে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন সেটাই করার চেষ্টা হচ্ছিল।’’ শেখ সুরাবুদ্দিন আহমেদের দাবি, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও প্রশ্নই নেই। রোগীকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করা হয়েছে।’’