হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসমোহনবাবু
মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর সিএমসি এলাকার এই ঘটনায় গুরুতর জখম রাসমোহন রত্ন নামে বছর ঊনপঞ্চাশের ওই ব্যক্তি আপাতত উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলায় ক্ষুর চালানোর অভিযোগে পুলিশে গ্রেফতার করেছে জগা বাহাদুর নামে এক যুবককে। ধৃতকে সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘মদ্যপ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিন্দমোটর সিএমসি এলাকার বাসিন্দা জগা নিয়মিত মদ খেয়ে এলাকায় গোলমাল করে। তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত। রবিবার রাতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এলাকার পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ জগা ফের মদ খেয়ে চিৎকার শুরু করে। ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী রাসমোহনবাবু জগাকে চিৎকার করতে বারণ করেন। কিন্তু কথা শোনা তো দূর, আরও জোরে চিৎকার শুরু করে জগা।
অভিযুক্ত জগা বাহাদুর। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, এরপর রাসমোহনবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে জগাকে ফের চুপ করতে বলেন। রাসমোহনবাবুর ভাই প্রভাস রত্নের কথায়, ‘‘জগাকে চুপ করতে বলতেই ও দাদাকে শক্ত করে ধরে গলার নলিতে ক্ষুর চালিয়ে দেয়।’’ রাসমোহনবাবুর মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই ছুটে আসেন তাঁর পরিজনরা। আসেন এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গলায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক। রাতেই রাসমোহনবাবুর পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জগাকে গ্রেফতার করে।
উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাসমোহনবাবুর গলায় ১৩টি সেলাই পড়েছে। তাঁর গলায় অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল। তবে আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।’’