প্রথম দশ জনে হুগলিরই পাঁচ

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার ক্ষেত্রে এই জেলার বেশ কিছু স্কুলের ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ বার অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিকে সামগ্রিক ভাবে এই জেলা অতীতের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

উল্লাস: মার্কশিট হাতে পাওয়ার পরে। উলুবেড়িয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র

বার বার তিন বার।

Advertisement

প্রথমে মাধ্যমিক। তার পরে আইসিএসই। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক। পর পর তিনটি বড় পরীক্ষাতেই এ বার হুগলি জেলার জয়জয়কার।

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার ক্ষেত্রে এই জেলার বেশ কিছু স্কুলের ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ বার অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিকে সামগ্রিক ভাবে এই জেলা অতীতের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। মেধা তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়— প্রতিটি স্থানেই জ্বলজ্বল করছে হুগলির পড়ুয়াদের নাম। তালিকার নবম স্থানেও রয়েছে এই জেলার দুই ছাত্রছাত্রী।

Advertisement

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের মতে, ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে এখন খুবই মনোযোগী। তার উপর অনেক স্কুলেই পরিবেশ তাদের পক্ষে সহায়ক। ছেলেমেয়েদের ভাল ফল করার নেপথ্যে স্কুল এবং বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ ছাড়াও গৃহশিক্ষকের ভূমিকাও রয়েছে। তা ছাড়া, বর্তমানে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। এক দিকে স্কুল এবং অন্য দিকে বাড়ি— এই দ্বিমুখী সচেতনতায় ছাত্রছাত্রীরা ফাঁকি মারার খুব একটা সুযোগ পায় না। এর অনিবার্য কারণেই ভাল ফল হচ্ছে।

মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শশাঙ্কশেখর মণ্ডল মনে করেন, ‘‘স্কুলের অনুশাসন এবং পড়াশোনার মান ছেলেমেয়েদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। লেখাপড়ার বাইরে স্কুলে সাংস্কৃতিক পরিবেশ, বিতর্ক, খেলা-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ পড়ুয়াদের মনের পুষ্টি যোগায়। লড়াই করে জেতার মানসিকতা তৈরি হয়।’’ হরিপালের দ্বারহাট্টা রাজেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমাদের স্কুল বা অন্য স্কুলেও দেখছি, এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষক পড়ানোর পাশাপাশি ছাত্রদের উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন।’’

হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহী, মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের মায়াঙ্ক চট্টোপাধ্যায় মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিকেও মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। অর্চিষ্মান প্রথম এবং মায়াঙ্ক দ্বিতীয় হয়েছেন। আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুলের শুভম সিংহ রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। যুগ্মভাবে নবম স্থানে রয়েছেন গোঘাটের বেঙ্গাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অনন্যা নেমো এবং উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দিব্যদীপ চট্টোপাধ্যায়। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে, এমনটাই আশা জেলার শিক্ষক মহলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement