ভাঙা এটিএম। নিজস্ব চিত্র
হাওড়ায় ফের অরক্ষিত এটিএম ভেঙে টাকা লুট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার গভীর রাতে আন্দুলে পরপর দু’টি এটিএম থেকে লুট হয়েছে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিন ভাঙাই নয়, টায়ার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এটিএম কাউন্টারও। শেষ রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন সাঁকরাইল থানার পুলিশ-সহ হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীরা প্রথমে হানা দেয় আন্দুল বাসস্ট্যান্ডে পেট্রল পাম্পের পাশে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমে। টাকা লুটের পরে একটি দোকান থেকে টায়ার নিয়ে এটিএম মেশিনের উপরে বসিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে আন্দুলের দুইল্যায় মিলগেটের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। একই ভাবে গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিন কেটে লুট করা হয় টাকা।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সাত লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। এটিএমের নিরাপত্তা বাড়াতে মাসখানেক আগে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। এটিএমগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যাঙ্ককর্তাদের একাধিক পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও যে এটিএমগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়নি, শুক্রবার রাতের ঘটনাই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। গত ২৬ ডিসেম্বরে একই ভাবে লিলুয়ার বেলগাছিয়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা লুট হয়েছিল। দু’টি ঘটনা একই দলের কাজ কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আন্দুল এলাকায়। ওই অঞ্চলের এক ব্যবসায়ী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এর পরে আমাদের দোকানেও তো লুট হতে পারে।’’ এটিএম পরিদর্শনে এসে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটি বেসরকারি সংস্থাকে এটিএমের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কত টাকা লুট হয়েছে, কী ভাবে হয়েছে, তা ওই সংস্থাই বলতে পারবে।’’ এই ব্যাপারে তাঁদের কোনও দায়িত্ব নেই বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।