বেআইনি অস্ত্র রাখার মামালায় বেকসুর খালাস পেলেন সিপিএমের আরামবাগ প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক গণেশ অধিকারী-সহ ১২ জন দলীয় নেতা। বুধবার আরামবাগের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক রসিদ আলমের এজলাসে মামলাটি ওঠে। উপযুক্ত সাক্ষ্য, প্রমাণের অভাবে বিচারক তাঁদের বেকসুর খালাস দেন।
গণেশবাবুদের আইনজীবী তপন হাজরা বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মামলায় যে সব সাক্ষীর সই ছিল, তাঁদের কাউকে বাড়ি থেকে কাউকে বা থানায় ডেকে সই করানো হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।’’ এ দিন রায় ঘোষণার পর গণেশবাবু বলেন, ‘‘আরামবাগ পুরসভার সিপিএমের বোর্ড দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও পুলিশ ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাদের যে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল তা আদালতের রায়েই প্রমাণিত।’’ সিপিএমের বর্তমান জোনাল সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। এরকম এখনও আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’’
সিপিএম নেতা গণেশ অধিকারীর বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার এক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে সেই বাড়িতে আসে পুলিশ। তল্লাশি করে একটি পাইপগান-সহ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। সেই সময় ওই বাড়িতে থাকা গণেশবাবুর ছেলে অরিজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গণেশবাবু-সহ ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁদের মধ্যে দেবী সামন্ত নামে এক সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার আগেই গণেশবাবু-সহ ১০ জন জামিন নিয়ে নেন। ধৃত দু’জনও জামিনে ছাড়া ছিলেন।